

ভারতে প্রতি ৮০০ জন পিছু ১ জন চিকিৎসক। শুক্রবার লোকসভায় একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। তবে তাঁর মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) –এর বলে দেওয়া মানের চেয়ে এই পরিসংখ্যান অনেক ভালো। হু–এর বলে দেওয়া মান অনুযায়ী চিকিৎসক-জনসংখ্যার অনুপাত ১:১০০০।
লোকসভায় জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (NMC) –এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনে নথিভুক্ত অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারের সংখ্যা ১৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৪৫। নাড্ডা বলেন, ‘নথিভুক্ত ৮০ শতাংশ অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার এবং প্রায় ৬.১৪ লক্ষ আয়ুশ (AYUSH) ডাক্তার ধরলে, দেশে চিকিৎসক-জনসংখ্যা অনুপাত প্রায় ১:৮১১, যা হু-এর বলে দেওয়া মান ১:১০০০ থেকে ভালো।‘
এদিন মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, দেশে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং এমবিবিএস আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নাড্ডা জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ১০২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৮০। ২০১৪ সালে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ছিল ৩৮৭। এছাড়া এমবিবিএসের আসন সংখ্যা ৫১,৩৪৮ থেকে ১৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১,১৮,১৩৭। ১৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে পিজির আসন। ৩১,১৮৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৩,১৫৭।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে জেলা হাসপাতালগুলিকে মেডিক্যাল কলেজে রূপান্তরের জন্য অনুমোদিত ১৫৭ টি হাসপাতালের মধ্যে ১৩১ টি হাসপাতালের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্থানেরই ২৩ টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে।
নাড্ডা জানান, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা (PMSSY) –এর অধীনে সুপার স্পেশালিটি ব্লক নির্মাণের জন্য অনুমোদিত ৭৫টির মধ্যে ৬৯ টির কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় সেক্টর প্রকল্পের অধীনে নতুন করে ২২ টি AIIMS অনুমোদিত হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন