

গতকালের তুলনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমলো দেশে। পরপর দু'দিন দৈনিক সংক্রমণ কমলো দেশে। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে যদিও এখনও তা হাজারের ওপরেই রয়েছে। এর ওপর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাস। দেশের ১১টি রাজ্যে এর হদিশ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন, গতকাল আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫১ হাজার মানুষ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৪৩।
২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৩ জন, গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৩২১। এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিডে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৯৩ জনের। এই মুহূর্তে দেশে মোট সক্রিয় কেস ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৬৫, যা গতকালের তুলনায় ১৭ হাজার কম। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৬৪ হাজার রোগী। মোট সুস্থ ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৫।
২৪ ঘন্টায় সবথেকে বেশি আক্রান্ত ধরা পড়েছে কেরলে। একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের। সেখানে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ।
মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। ২৪ ঘন্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬০৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫১১ জনের। দেশের মধ্যে সর্বাধিক সক্রিয় রোগী এখানেই, ১.২৩ লক্ষ। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৩৭০ জনের।
তামিলনাড়ুতে একদিনে ৫ হাজার ৭৫৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জনের। রাজ্যে সক্রিয় কেস ৪৭ হাজার।
কর্ণাটকে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১৪ জনের। এখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১.০৭ লক্ষ।
এই চারটি রাজ্য ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং আসাম - এই চারটি রাজ্যের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই চারটি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪,৪৫৮, ১,৯৩৩, ২,৯১২ এবং ২,৭৯৩।
দেশে এখনও পর্যন্ত মোট টিকাকরণ হয়েছে ৩১ কোটি ৫০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯২৬ জনের। শেষ ২৪ ঘন্টায় টিকাকরণ হয়েছে ৬১ লক্ষ ১৯ হাজার জনের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন