

করোনায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা গোপন করছে গুজরাট সরকার। আমেদাবাদ, রাজকোট, সুরাট, ভাবনগর, জামনগরের মতো শহরগুলি কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে। তারপরও প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ্যে আনছে না রাজ্য প্রশাসন।
দৈনিক ভাস্কর সংবাদপত্র ১ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মৃত্যু শংসাপত্রের ভিত্তিতে ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাত্র ৭১ দিনে ৩৩টি জেলা এবং আটটি কর্পোরেশন থেকে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৭১টি ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। ওই সময়কালে রাজ্যের দেওয়া তথ্য বলছে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪২১৮ জনের। ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে রাজ্যে ২৫০২৬ জনের, এপ্রিলে ৫৭ হাজার ৭৯৬ জনের, মে মাসের দশদিনেও ৪০ হাজার ৫১ জনের মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে।
গত বছর গুজরাট এই সময় মার্চ মাসে ২৩ হাজার ৩৫২ জনের, এপ্রিলে ২১ হাজার ৫৯১ জনের, মে মাসের ১৩ হাজার ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের পাঁচ বড় জেলায় ৭১ দিনে ২১৯০৮টি ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়। দৈনিক ভাস্কর জানিয়েছে, মৃত্যুতে বড় অংশের উচ্চ রক্তচাপ ছিল। ৮০ শতাংশ করোনা ছাড়াও অন্যান্য অসুখ ছিল। ৩৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ ছিল। ২৮ শতাংশের ডায়াবেটিস ছিল। কিডনি এবং লিভারের সমস্যা হচ্ছিল অনেকের। মৃতদের পরিবার এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
করোনামুক্ত হওয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চার শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের ৬০ শতাংশের বয়স ৪৫ বছরের উপরে। কিন্তু কুড়ি শতাংশের বয়স ২৫ বছরের কম। সম্প্রতি গুজরাট সরকার বলেছিল, সরকার মৃত্যুসংখ্যা গোপন করছে না। কোমরবিডিটিতে মৃত্যু হলে তা করোনায় মৃত্যু বলে ধরা হচ্ছে না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন