

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফের নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা ভাইরাসের ঢেউ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে নতুন করে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বাইডেন সরকার যদিও জানিয়েছে, কয়েকটি প্রদেশে সামান্য করোনা আক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে, এখনই ভয়ের সেরকম কিছু নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো তথ্যের চেয়ে বাস্তব পরিস্থিতি অনেক বেশি গুরুতর। এমনটাই জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম CNN-এর এক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, “ একাধিক পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে প্রত্যেকেই এই মুহূর্তে কোনও না কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান জানেন।” এই নিয়ে কাউন্সিল অফ স্টেট অ্যান্ড টেরিটরিয়াল এপিডেমিওলজিস্টস-এর এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর জ্যানেট হ্যামিলটন জানিয়েছেন, “সরকারিভাবে প্রকাশ করা তথ্যের চেয়ে বাস্তবে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। এবারে আমাদের এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে, কারণ সংক্রমণের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব দেখা গিয়েছে।”
অন্যদিকে, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন হেলথ বিভাগের শীর্ষ কৌশলী আধিকারিক তথা হেলথ ম্যাট্রিক্স সায়েন্সের অধ্যাপক আলি মোকদাদও জানিয়েছেন যে তিনি গত বছরের শেষের মতো এবারও প্রতিদিন কোভিড-১৯ নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে ফোন পাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকেও আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে করোনা সংক্রমণের ঢেউ উঠেছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শেষ কয়েকবারের সংক্রমণের পরিস্থিতির চেয়ে এবারের পরিস্থিতি আরও অনেক বেশি গুরুতর।
সিডিসি রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেষ কয়েকমাসে হাসপাতালগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা করোনা ভাইরাসের দুই নয়া ভ্যারিয়েন্টের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এতদিন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট EG.5 (এরিস) আমেরিকায় প্রভাব বিস্তার করছিল। কিন্তু এখন ভ্যারিয়েন্ট BA.2.86 ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। গোটা বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট EG.5 ছড়িয়ে পড়ছে বলে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু-এর তরফেও এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
-With IANS Inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন