

বাড়তে বাড়তে প্রায় ৮ হাজার পৌঁছে গেল রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ৩০ ছাড়িয়ে গেল। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। কলকাতাতেই একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার জন এবং উঃ ২৪ পরগণায় দেড় হাজারের বেশি। এরই মাঝে জোরকদমে নির্বাচনের প্রচার চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো, যা আরও আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরো ৭ হাজার ৭১৪ জন, গতকাল যা ছিল ৬ হাজার ৯১০। গতকাল রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬,৪৩,৭৯৫। আজ সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬,৫১,৫০৮।
করোনা আক্রান্তদের সংখ্যার বিচারে জেলাগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। সেখানে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৮০০। ২৪ ঘন্টায় সেখানে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১,৯৯৮ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগণায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৭২। সেখানে ২৪ ঘন্টায় ১,৬৩৯ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দঃ ২৪ পরগণা, সেখানে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৪১,৮৯০ (+৪৯১)। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে হাওড়া ও হুগলী, যেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪১,১৪১(+৪৩২) ও ৩৩,১৫৯(+৩২১)।
একদিনে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে চার হাজারের বেশি। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪৫,৩০০ (+৪,২৫৩)। এখনও পর্যন্ত মোট ৫,৯৫,৬৬৮ জন সংক্রমিত ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ৪২৬ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে করোনা রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯১.৪৩ শতাংশ।
বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ৩৪ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ হাজার ৫৪০। এর মধ্যে কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে মোট ৩,২০১(+১০) জন করোনা আক্রান্তের। উত্তর ২৪ পরগণাতে এখনও পর্যন্ত ২,৫৮৮(+৮) জন কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে পশ্চিমবঙ্গে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা অনেক কম।। এখনও পর্যন্ত মোট ৯৭,৬২,০৮৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে রাজ্যে। এর মধ্যে শেষ ২৪ ঘন্টায় ৪৬,৯৭১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ১০৫টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতি দশ লক্ষ মানুষ পিছু ১,০৮,৯৪৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন