

ছবিটা ক্রমশ মারাত্মক হয়ে উঠছে। ক্রমশ চওড়া হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের থাবা, শেষ ২৪ ঘন্টায় যা প্রাণ কাড়লো প্রায় ৪ হাজার জনের। দৈনিক সংক্রমণও ৪ লাখের গন্ডির কাছাকাছি।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ২১৫ জন, গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৩.৫৭ লক্ষ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৫৮। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ৩ হাজার ৭৮০ জন, গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজার ৪৪৯। এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিডে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ২৬ হাজার ১৮৮ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস ৪০ হাজার বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ২২৯। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩.৩৮ লক্ষ রোগী।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে। দৈনিক সংক্রমণ কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা এখনও লাগামহীন। ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ হাজার ৮৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৯১ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ লক্ষ ২২ হাজার ৯০২, এর মধ্যে সক্রিয় কেস ৬.৪৪ লক্ষ। গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সক্রিয় কেস এখানে হলেও শেষ কয়েকদিন সক্রিয় কেসের সংখ্যা কমেছে এখানে। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭১ হাজার ৭৪২ জনের।
মহারাষ্ট্রের পরেই সবথেকে খারাপ অবস্থা কর্ণাটকের। ২৪ ঘন্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৮৮ জনের। এখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪.৬৪ লক্ষ।
এরপরই রয়েছে কেরল। শেষ ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। সেখানে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৩.৫৭ লক্ষ।
উত্তরপ্রদেশে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫,৭৭০ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৩৫১ জনের।
তামিলনাড়ুতেও দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে হু-হু করে। শেষ ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২১,২২৮ ও মৃত্যু হয়েছে ১৪৪ জনের।
এই পাঁচটি রাজ্য ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় - এই পাঁচটি রাজ্যের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই পাঁচটি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ২০,০৩৪, ১৯,৯৫৩, ১৭,৬৩৯, ১৬,৯৭৪, ১৫,৭৮৫।
২৪ ঘন্টায় দিল্লি, ছত্তিশগড়, গুজরাট, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন যথাক্রমে ৩৩৮, ২১০, ১৩১, ১৫৩, ১৭৩ ও ১৫৪ জন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন