

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। ক্রমশ মারাত্মক হয়ে উঠছে এই মারণ ভাইরাস। প্রতিদিনই ভাঙছে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড, যা বাড়তে বাড়তে এখন এসে দাঁড়িয়েছে ২.১৭ লাখে। এই নিয়ে দু'দিন দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে এবং টানা ছয় দিন সংক্রমণ দেড় লাখের উপরে রয়েছে।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫৩ জন, করোনাকালে এটাই সর্বাধিক সংক্রমণ। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২ লক্ষ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৯১ হাজার ৯১৭। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৫ জন, গতকাল যা ছিল ১ হাজার ৩৮। এই নিয়ে টানা তিনদিন কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা হাজারের বেশি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০৮ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস প্রায় ১ লক্ষ বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭৪৪।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে, যা সামলাতে আপতত হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১৫ দিনের কার্ফু জারি করা হয়েছে। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। গোটা রাজ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। একদিনে সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৬৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৫৫। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৯ হাজার ১৫৩ জনের।
মহারাষ্ট্র ছাড়াও ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট - এই আটটি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। উত্তরপ্রদেশে ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ ২২,৩৩৯। দিল্লি, ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে এই সংখ্যাটা যথাক্রমে ১৬,৬৯৯, ১৫,২৫৬, ১৪,৭৩৮, ৭,৯৮৭, ৮,১২৬, ৮,১৫২, ১০,১৬৬।
দিল্লিতে ২৪ ঘন্টায় ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে ১৪টি হাসপাতালকে জরুরি ভিত্তিতে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে এবং শশ্মানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন