ছবিটা ক্রমশ মারাত্মক হয়ে উঠছে। প্রবল গতিতে প্রভাব বিস্তার করছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিদিনই ভাঙছে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে ১ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে টানা চারদিন দেশে দৈনিক সংক্রমণ দেড় লাখের উপরে রয়েছে। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর সংখ্যাও হাজার ছাড়িয়েছে, গত ছয় মাসে যা সর্বোচ্চ। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেসের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখেরও বেশি, এর আগে যা কোনোদিন হয়নি।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২, করোনাকালে এটাই সর্বাধিক সংক্রমণ। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১.৬১ লক্ষ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮২৫। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ১ হাজার ২৭ জন। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৫ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস ১,০১,০০৬ বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭০৪।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে, যা সামলাতে আপতত হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। আজ থেকে রাজ্যে টানা ১৫ দিনের কার্ফু জারি করা হয়েছে। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। গোটা রাজ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। একদিনে সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ২১২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৮১ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩৫ লক্ষ ১৯ হাজার ২০৮। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৮ হাজার ৫২৬ জনের।
মহারাষ্ট্র ছাড়াও ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট - এই আটটি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। উত্তরপ্রদেশে ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ ১৭,৯৬৩। ছত্তিশগড়, দিল্লি, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে এই সংখ্যাটা যথাক্রমে ১৫,১২১, ১৩,৪৬৭, ৮,৭৭৮, ৬,৯৮৪, ৭,৫১৫, ৬,৬৯০, ৮,৯৯৮।
গতকালের রেকর্ড ভেঙে দিল্লিতে আজ সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সন্ধান পাওয়া গেছে। ২৪ ঘন্টায় ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। রাজ্যের ১৪টি হাসপাতালকে জরুরি ভিত্তিতে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের জন্য কেন্দ্র সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।