
আজও দেড় লাখের গন্ডির বাইরে থাকলেও গতকালের তুলনায় কিছুটা কমেছে দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ কিছুটা কমায় মোট সংক্রমণ কমেছে। তবে রাজধানী দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে গতকালের রেকর্ড ভেঙে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে আজ। দেশে একদিনে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৯০০ জন মানুষ। সব মিলিয়ে দেশের কোভিড পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে বারবার টিকা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে। তবে অধিকাংশ জায়গাতেই টিকার অভাবে ভ্যাকসিনেশন বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৩৬, গতকাল যা ছিল ১.৬৯ লক্ষ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫৩। মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে ব্রাজিলকে টপকে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশের স্থান দখল করেছে ভারত। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ৮৭৯ জন। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৮ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস ৬৩,৬৮৯ বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬৯৮।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে, যা সামলাতে আপতত হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। গতকাল রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হলেও (৬৩,২৯৪) আজ সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম, ৫১ হাজার ৭৫১। ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫৮ জন। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৯৬।
তবে এতো কিছুর মধ্যেও স্বস্তির খবর সক্রিয় কেসের সংখ্যা কমেছে মহারাষ্ট্রে। সক্রিয় কেসের সংখ্যা প্রায় হাজার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৭৮ এ। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৮ হাজার ২৪৫ জনের। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করতে পারে উদ্ধব ঠাকরের সরকার।
মহারাষ্ট্র ছাড়াও ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট - এই আটটি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। উত্তরপ্রদেশে ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ ১৩,৬০৪। ছত্তিশগড়, দিল্লি, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে এই সংখ্যাটা যথাক্রমে ১৩,৫৭৬, ১১,৪৯১, ৯,৫৭৯, ৬,৭১১, ৫,৬৯২, ৬,০২১, ৬,৪৮৯।
গতকালের রেকর্ড ভেঙে দিল্লিতে আজ সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সন্ধান পাওয়া গেছে। রাজ্যের ১৪টি হাসপাতালকে জরুরি ভিত্তিতে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। অপরদিকে গুজরাটের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে সে রাজ্যের হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ৫০ শতাংশ কর্মচারী করোনা আক্রান্ত। বাড়ি থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি চলবে বলে জানা গেছে। হরিয়ানায় নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন