
শেষ ২৪ ঘন্টায় কোভিড সংক্রমণে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হলো রাজ্যে। পাশাপাশি দৈনিক সংক্রমণেরও রেকর্ড তৈরি হয়েছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে প্রায় সাড়ে ষোলো হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও কলকাতায় গতকালের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে। রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও লক্ষ ছাড়িয়েছে। এর সাথে উদ্বেগ বাড়িয়ে কমছে সুস্থতার হার।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরো ১৬ হাজার ৪০৩ জন, করোনাকালে রাজ্যে সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ এটা। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১৫ হাজার ৯৯২। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৭,৭৬,৩৪৫।
দৈনিক সংক্রমণের বিচারে জেলাগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। ২৪ ঘন্টায় সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। যদিও এখনও তা প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছিই রয়েছে, ৩,৭০৮। রাজধানীতে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ২৩,৮৫২। উত্তর ২৪ পরগণায় ২৪ ঘন্টায় ৩,৪৫১ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। দঃ ২৪ পরগণাকে ছাড়িয়ে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে হাওড়া, সেখানে ২৪ ঘন্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৯৩৯। এছাড়াও শেষ ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ পাঁচশোর উপরে রয়েছে যে জেলাগুলোতে সেগুলো হলো - দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৯১৯), হুগলি (৮৪৩), পশ্চিম বর্ধমান (৮৬২), বীরভূম (৭৮৮), মালদা (৫৮৩), নদীয়া (৬৬২), পূর্ব মেদিনীপুর (৫২৮), পূর্ব বর্ধমান (৫৪৩), দার্জিলিং (৫২৫)।
একদিনে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ছয় হাজার। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১,০০,৬১৫ (+৫,৬৬৬)। এখনও পর্যন্ত মোট ৬,৬৪,৬৪৮ জন সংক্রমিত ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ১০ হাজার ৬৬৪ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে করোনা রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮৫.৬১ শতাংশ।
বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ৭৩ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১ হাজার ৮২। এর মধ্যে কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে মোট ৩,৩৬৩(+২৪) জন করোনা আক্রান্তের। উত্তর ২৪ পরগণাতে এখনও পর্যন্ত ২,৭০৬(+১৩) জন কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা অনেক কম। এখনও পর্যন্ত মোট ১,০২,৭০,৬৪৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে রাজ্যে। এর মধ্যে শেষ ২৪ ঘন্টায় ৫৫,২৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ১১২টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতি দশ লক্ষ মানুষ পিছু ১,১৪,১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন