

একটানা বেড়ে চলার পর কিছুটা স্বস্তি দিলো করোনা সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ এবং দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা – কমলো দুটোই। গত ১৫ এপ্রিল থেকে দেশে প্রতিদিন ২ লাখের বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২৯ লক্ষর কাছাকাছি। দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের অবস্থা সবথেকে ভয়াবহ। রেকর্ড সংক্রমণের পাশাপাশি প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে সেখানে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ১৪৪ জন, যা গত কয়েকদিনের অনুপাতে অনেকটাই কম। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৩.৫২ লক্ষ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩০৭। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ২ হাজার ৭৭১ জন, গতকাল যা ছিল ২ হাজার ৮১২ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিডে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস ৬৮,৫৪৬ বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ লক্ষ ৮২ হাজার ২০৪।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫২৪ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৪৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭২৭। রাজ্যে এখন সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৬,৭৬,৬৪৭ লক্ষ। গোটা দেশের মধ্যে সর্বাধিক সক্রিয় কেস এখানেই। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৫ হাজার ২৮৪ জনের।
মহারাষ্ট্রের পরেই সবথেকে খারাপ অবস্থা উত্তরপ্রদেশের। ২৪ ঘন্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জনের। এখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে।
এরপরই রয়েছে কর্ণাটক। শেষ ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৭৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের। সেখানে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ২.৮১ লক্ষ।
দিল্লিতে শেষ কয়েকদিনে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ২৫ হাজারের আশেপাশেই রয়েছে। তবে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় ৩৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। আরো এক সপ্তাহ রাজধানীতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এই চারটি রাজ্য ছাড়াও কেরল, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, রাজস্থান - এই ছ'টি রাজ্যের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সাতটি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ২১,৮৯০, ১৫,০৮৪, ১৫,৬৮৪, ১৫,৯৯২, ১৪,৩৪০, ১৬,৪৩৮। ২৪ ঘন্টায় ছত্তিশগড়, গুজরাট ও ঝাড়খণ্ডে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন যথাক্রমে ২২৬, ১৫৮ ও ১২৪ জন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন