
লাখের গন্ডি ছাড়িয়েছিল সপ্তাহের শুরুতেই। প্রতিদিন সংখ্যাটা বাড়তে বাড়তে এবার দেড় লাখের গন্ডি ছুঁই ছুঁই, যা এককথায় ভয়াবহ। গতকাল দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১.৩২ লাখ, আজ তা বেড়ে ১.৪৫ লাখ ছাড়িয়েছে। ২৪ ঘন্টায় কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৮০০ জন। সক্রিয় কেসের সংখ্যাও বেড়ে সাড়ে ১০ লক্ষ হতে চলেছে। করোনাকালে এটাই সর্বোচ্চ সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। সব মিলিয়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮৪, এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ এটাই। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৩২ লক্ষ উ হাজার ৯২৬। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ৭৯৪ জন, গতকাল ৭৮০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস ৬৭,০২৩ বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৩১।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে, যা সামলাতে আপতত হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। গতকাল যেখানে প্রায় ৫৬ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন আজ সেখানে ৫৮ হাজার ৯৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০১ জন। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫৪০, এর মধ্যে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৩। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৭ হাজার ৩২০৯ জনের।
মহারাষ্ট্র ছাড়াও ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট - এই আটটি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ছত্তিশগড়ে ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ ১১,৪৪৭। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে এই সংখ্যাটা যথাক্রমে ৯,৫৮৭, ৮,৫২১, ৭,৯৫৫, ৫,৪৪১, ৫,০৬৩, ৪,৫৪১, ৪,৮৮২।
করোনা প্রতিরোধে দিল্লি, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্রে নাইট কার্ফু জারি করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটকের কিছু জায়গাতেও নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বাড়লেও এখনই লকডাউনের পথে হাঁটছে না সরকার, সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। বরং কোভিড প্রতিষেধক দিয়ে করোনার মোকাবিলা করার কথা ভাবছে সরকার। আগামী ১১ থেকে ১৪ এপ্রিল সমস্ত রাজ্যগুলিকে টিকা উৎসব পালন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও অধিকাংশ রাজ্যেই টিকার অভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন