
বেশ কয়েকদিন পর আজকের কোভিড পরিসংখ্যান কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে দেশবাসীকে। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুসংখ্যাও গতকালের তুলনায় কমেছে। যদিও দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা এখনও ৪০ হাজারের উপরেই রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৪০ হাজার ৭১৫, গতকাল যা ছিল ৪৭ হাজার। গত ৭ নভেম্বরের পর থেকে গতকালই ছিল সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯৬।
২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ১৯৯ জন, গতকাল যা ছিল ২১২। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৬৬ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস ১০,৭৩১ বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৭৭ তে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে, যা সামলাতে আপতত হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। গোটা রাজ্যেই লকডাউন জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৬৪৫, গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৩০ হাজার ৫৩৫। ২৪ ঘন্টায় কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৮ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ২৫ লক্ষ ৪ হাজার ৩২৭, এর মধ্যে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৪০। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৫৭ জনের। নান্দেদে ১১ দিনের জন্য কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। নাগপুরে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিসে ২৫ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট সন্ধ্যা ৭টার পর বন্ধ থাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র ছাড়াও পাঞ্জাব, কর্ণাটক গুজরাট, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এরই মাঝে আশার আলো দেখাচ্ছে কেরল। দৈনিক সংক্রমণ ও সক্রিয় রোগীর সংখ্যার গ্রাফ ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হচ্ছে সেখানে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে অফলাইন ক্লাস বাতিল করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন