

শেষ কয়েকদিন যে গতিতে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছিল তা কিছুটা কমলো আজ। যদিও আজও সংক্রমণের রেকর্ড তৈরি হয়েছে রাজ্যে। সংক্রমণের গতি কমার প্রধান কারণ শেষ ২৪ ঘন্টায় টেস্ট অনেক কম হয়েছে রাজ্যে। তবে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭০ জনের, কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০ জনের।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরো ১৫ হাজার ৯৯২ জন, করোনাকালে রাজ্যে সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ এটা। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১৫ হাজার ৮৮৯। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৭,৫৯,৯৪২।
দৈনিক সংক্রমণের বিচারে জেলাগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। ২৪ ঘন্টায় সেখানে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৩,৮৬৮ জন। রাজধানীতে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ২২,৮৪৯। উত্তর ২৪ পরগণায় ২৪ ঘন্টায় ৩,৪২৫ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দঃ ২৪ পরগণা, সেখানে ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৯৮২। এছাড়াও শেষ ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ পাঁচশোর উপরে রয়েছে যে জেলাগুলোতে সেগুলো হলো - হাওড়া (৯১৪), হুগলি (৮১৮), পশ্চিম বর্ধমান (৭৭০), বীরভূম (৭০৪), মালদা (৬৪৪), নদীয়া (৬৩৭), মুর্শিদাবাদ (৫০৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৫০৫)।
একদিনে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে ছয় হাজারের কিছু বেশি। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৯৪,৯৪৯ (+৬,১৪৯)। এখনও পর্যন্ত মোট ৬,৫৩,৯৮৪ জন সংক্রমিত ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৯ হাজার ৭৭৫ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে করোনা রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮৬.০৬ শতাংশ।
বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ৬৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১ হাজার ০০৯। এর মধ্যে কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে মোট ৩,৩৩৯ (+২৬) জন করোনা আক্রান্তের। উত্তর ২৪ পরগণাতে এখনও পর্যন্ত ২,৬৯৩(+১১) জন কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা অনেক কম। এখনও পর্যন্ত মোট ১,০২,১৫,৩৫৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে রাজ্যে। এর মধ্যে শেষ ২৪ ঘন্টায় ৪৮,৫৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, গতকাল যা ছিল ৫৫,৬০০ টি। রাজ্যে মোট ১১২টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতি দশ লক্ষ মানুষ পিছু ১,১৩,৫০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন