

১৮ হাজারের নীচে নামলো রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ। এই নিয়ে টানা তিনদিন সংক্রমণ কমলো রাজ্যে। ২৪ ঘন্টায় সুস্থতার সংখ্যাও বেড়েছে। তবে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা দেড়শোর উপরেই রয়েছে। টেস্টের সংখ্যাও গতকালের থেকে সামান্য কমেছে। দৈনিক সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরো ১৭ হাজার ৮৮৩ জন। গতকাল সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৮ হাজার ৪২২ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৭৩।
দৈনিক সংক্রমণের বিচারে জেলাগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। গতকালের মতো আজও এখানে দৈনিক সংক্রমণ ৪ হাজারের নীচে রয়েছে, এমনকি গতকালের থেকে কমেছে। ২৪ ঘন্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭৯৩ জন। কলকাতায় ২৪ ঘন্টায় ৩,১২১ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, সেখানে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ১,২০৫। এছাড়াও হুগলি (১,১৬৯), হাওড়া (১,১৯৬) এবং নদীয়াতেও (১,০৯৮) একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়াও শেষ ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ পাঁচশোর উপরে রয়েছে যে জেলাগুলোতে সেগুলো হলো - পূর্ব মেদিনীপুর (৬৯২), পশ্চিম মেদিনীপুর (৫৬৪), পশ্চিম বর্ধমান (৭২৯), পূর্ব বর্ধমান (৫২৭), দার্জিলিং (৫৫৩), বাঁকুড়া (৫৮৮), জলপাইগুড়ি (৫৯২)।
এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৮৫, যা রবিবারের থেকে ১ হাজার ৯৪০ কম। এখনও পর্যন্ত মোট ১১ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৭১ জন সংক্রমিত ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ১৯ হাজার ৬৭০ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ১৯ হাজার ৪২৯ জন।
বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ১৫৩ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১৫৬। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৫১৭। এর মধ্যে কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে মোট ৪,২২৬(+৩৫) জন করোনা আক্রান্তের। উত্তর ২৪ পরগণাতে এখনও পর্যন্ত ৩,৬৩৩(+৪৭) জন কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন। জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ২৪ ঘন্টায় যথাক্রমে ১০ ও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকালের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমেছে পশ্চিমবঙ্গে। এখনও পর্যন্ত মোট ১,১৯,৯১,৮৪৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে রাজ্যে। এর মধ্যে শেষ ২৪ ঘন্টায় ৬৬,২৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৬৯,১৪৫টি। রাজ্যে সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৭২ শতাংশে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন