
এবার কমলো দৈনিক সংক্রমণ, যা শতাংশের বিচারে গতকালের তুলনায় ৪.৪ শতাংশ কম। এই নিয়ে পরপর দু'দিন সংক্রমণ বাড়বার পর সংক্রমণ কমলো দেশে। দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা হাজারের ওপরেই রয়েছে। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। এর ওপর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাস।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৫১ হাজার ৬৬৭ জন, গতকাল আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৪ হাজার মানুষ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৫।
২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ১ হাজার ৩২৯ জন, গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৩২১। এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিডে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩১০ জনের। এই মুহূর্তে দেশে মোট সক্রিয় কেস ৬ লক্ষ ১২ হাজার ৮৬৮, যা গতকালের তুলনায় ১৪ হাজার কম। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৬৪ হাজার রোগী। মোট সুস্থ ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৬৭।
গত কয়েকদিনের মত শেষ ২৪ ঘন্টায় সবথেকে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে কেরলে। একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩৬ জনের। সেখানে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে।
মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। ২৪ ঘন্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৪৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৫৬ জনের। দেশের মধ্যে সর্বাধিক সক্রিয় রোগী এখানেই, ১.২৫ লক্ষ প্রায়। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৫৯ জনের।
তামিলনাড়ুতে একদিনে ৬ হাজার ১৬২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫৫ জনের। রাজ্যে সক্রিয় কেস প্রায় ৫০ হাজার।
কর্ণাটকে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩৮ জনের। এখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১.১০ লক্ষ।
এই চারটি রাজ্য ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং আসাম - এই চারটি রাজ্যের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই চার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪,৯৮১, ১,৯২৩, ৩,৬৫০ এবং ২,৭৮১।
দেশে এখনও পর্যন্ত মোট টিকাকরণ হয়েছে ৩০ কোটি ৭৯ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৪৪ জনের। শেষ ২৪ ঘন্টায় টিকাকরণ হয়েছে ৬০ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯১২ জনের। যা গতকালের থেকে অনেকটাই কম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন