
শেষ ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ এই পর্যায়ে পৌঁছল। কেবলমাত্র মুম্বাইয়েই আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি। দেশে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত দিশেহারা মহারাষ্ট্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭২৬, গত ২৯ নভেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ এটাই। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৩১। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ১৫৪ জন। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৭০ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস প্রায় ১৯ হাজার বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২৮২ তে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে, যা সামলাতে আপতত হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৮৩৩, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এই প্রথম কোনো রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ২৬ হাজারের গন্ডি ছুঁইল। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ২৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৪০, এর মধ্যে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৩৭। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজার ১৩৮ জনের।
বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দেশের সক্রিয় করোনা রোগীর ৬০ শতাংশ এবং মোট মৃত্যুর প্রায় ৪৬ শতাংশই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। মহারাষ্ট্রের পালঘরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। বৃহন্মুম্বই প্রশাসনের তরফে মুম্বাইয়ের সমস্ত শপিং মলে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণের হারে মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে পাঞ্জাব, কেরল, কর্ণাটক এবং গুজরাট। শেষ ২৪ ঘন্টায় এই চার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ২,৩৬৯, ১,৮৯৯, ২,০১৩, ১,৪৮৮, ১,২৭৬ জন। সংক্রমণ রুখতে গতকাল থেকেই আহমেদাবাদে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লোকাল বাস পরিষেবা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন