Covid-19: কোভিডের পর সারাক্ষণ ক্লান্তিভাব! কী পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা?

দেখা যাচ্ছে, এই ক্লান্তিভাব যুক্ত কোভিডের সঙ্গেই। মহামারীর শুরু থেকেই প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ক্লান্তির সমস্যায় ভুগছেন। এটি কিন্তু দীর্ঘ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী

গত দু'বছরে করোনা ভাইরাস বিশ্ববাসীর জীবনযাত্রা বদলে দিয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন ভাইরাসের দাপটে নাজেহাল হয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ, ডাক্তাররা। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন ধরে চলা লকডাউনে পৃথিবীর অর্থনীতি একপ্রকার থমকে গিয়েছে। এতো গেল সার্বিক পরিস্থিতির কথা।

এবার আসা যাক শরীরের কথায়। যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বহুজনের শারীরিক দুর্বলতা স্বাভাবিক জীবনযাপনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ দিনের এই অসুস্থতা থেকে শরীরে ক্লান্তি ভাব, অ্যালার্জি, সঙ্গে দুর্বলতা – সমস্যা দেখা দিয়েছে অনেক কিছুই। রোগের পর ক্লান্তি কিন্তু হাজার বিশ্রামেও কমে না। একধরনের দুর্বলতা যেন থেকেই যায়। আসলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে যখন শরীরের ইমিউনিটি লড়াই করে, তখনই শরীরের ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। অনেকের ক্ষেত্রেই ভাইরাসের প্রভাব কমে গেলে দুর্বলতা আসে।

অনেকেই মনে করেন ক্লান্তি মানে পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া। আবার অনেকের ভাবেন ক্লান্তি অর্থাৎ মানসিক চাপ, কিংবা কোনও একধরনের অস্বস্তি। কিন্তু দুর্বলতা ও ক্লান্তির মধ্যে পার্থক্য এই যে, ক্লান্তি ঘুম কিংবা বিশ্রামের সঙ্গে কমতে পারে। কিন্তু দুর্বলতা তাতে খুব একটা কমে না। দেখা যাচ্ছে, এই ক্লান্তিভাব কোভিডের সঙ্গেই। মহামারীর শুরু থেকেই প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ক্লান্তির সমস্যায় ভুগছেন। এটি কিন্তু দীর্ঘ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাই বেশি করে ও পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া করা উচিত। যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা অবশ্য কম দুর্বলতা অনুভব করছেন। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সুস্থ তো থাকতে হবে অবশ্যই।

সেক্ষেত্রে কী করবেন?

পুষ্টিকর খাবার, ফল বা বাদাম জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই ধরনের খাবার শরীরের ঘাটতি পূরণ করে, দুর্বলতা কমায়। সর্বোপরি ইমিউনিটি বাড়ায়। তবে অবশ্যই পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কখন, কোনটা, কীভাবে খাবেন, সেবিষয়ে জেনে নিন। ভালো ঘুম হওয়া প্রয়োজন। খুব ক্লান্তি থাকলে ঘুম নিয়ে কার্পণ্য করবেন না। এতে শরীরের শক্তি বাড়তে পারে। সময় বেঁধে ঘুমানো উচিত। ব্যায়াম করতে হবে। তবে সেটাও কিন্তু অবশ্যই বিশেষজ্ঞ বা ট্রেনারের সঙ্গে আলোচনা করে, তাঁদের পরামর্শ মতো।

পরবর্তীতে ক্লান্তি কম করতেই, থেরাপির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। ফিজিওথেরাপি কিংবা ব্যায়াম ফিজিওলজিতে ক্লান্তি দূর হয়। নিজস্ব শক্তির মাত্রা বাড়াতে হবে। অগ্রাধিকার বুঝেই নিজের শরীরকে ফোকাস করুন।

ছবি - প্রতীকী
Uttar Pradesh: মহামারীর পরে সারা বিশ্ব আয়ুর্বেদের গুরুত্ব মেনে নিয়েছে - যোগী আদিত্যনাথ

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in