

গতকালের তুলনায় কিছুটা সংক্রমণ কমলো আজ। এই নিয়ে পরপর দু'দিন দৈনিক সংক্রমণ কমলো দেশে। যদিও উদ্বেগ বাড়িয়ে গতকালের তুলনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়েছে আজ। দৈনিক সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যুতে মহারাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে কর্ণাটক। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন সাড়ে তিন লক্ষাধিক সংক্রমিত ব্যক্তি।
মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৪২ জন, গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় ৩.৬৬ লক্ষ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ২৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৫১৭। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৭৬ জন, গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজার ৭৫৪। এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিডে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯৯২ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস কমেছে দেশে। এই মুহূর্তে দেশে মোট সক্রিয় কেস ৩৭ লক্ষ ১৫ হাজার ২২১। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩.৫৬ লক্ষ রোগী। মোট সুস্থ ১ কোটি ৯০ লক্ষ ২৭ হাজার ৩০৪।
দৈনিক সংক্রমণের হিসেবে মহারাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে কর্ণাটক। শেষ ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৩০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৯৬ জনের। তবে মোট আক্রান্তের হিসেবে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্ণাটক। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯.৭৩ লক্ষ, এর মধ্যে সক্রিয় কেস ৫.৭১ লক্ষ।
মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা এখনও যথেষ্ট বেশি। শেষ ২৪ ঘন্টায় এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ২৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৪৯ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫১.৩৮ লক্ষ। শেষ ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে সক্রিয় কেস কমেছে প্রায় ২৫ হাজার। এখন সেখানে মোট সক্রিয় কেস ৫.৯৩ লক্ষ। গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সক্রিয় কেস এখানেই। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৬ হাজার ৩৯৮ জনের।
তামিলনাড়ুতেও দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে হু-হু করে। শেষ ২৪ ঘন্টায় সেখানে ২৮,৯৭৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩২ জনের। আগামী ২৪ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে তামিলনাড়ুতে।
এরপরই রয়েছে কেরল। শেষ ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৪৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। শেষ ২৪ ঘন্টায় এখানেও সক্রিয় কেস কমেছে। এই মুহূর্তে এখানে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৪.২০ লক্ষ। রাজ্যে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২১,২৭৭ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২৭৮ জনের।
এই পাঁচটি রাজ্য ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা - এই পাঁচটি রাজ্যের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই পাঁচটি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১৯,৪৪৫, ১৬,৪৮৭, ১৪,৯৮৬, ১২,৬৫১, ১২,৭১৮।
২৪ ঘন্টায় দিল্লি, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও উত্তরাখণ্ডে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন যথাক্রমে ৩১৯, ১৭২, ১৬১, ১৯৮, ১৬০ ও ১৬৮ জন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন