
সাড়ে তিন লক্ষ ছুঁতে চললো দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর সংখ্যাও আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। করোনা কালে এটাই সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাতেও রেকর্ড তৈরি হয়েছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সাড়ে ২৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবথেকে ভয়াবহ। রেকর্ড সংক্রমণের পাশাপাশি প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে সেখানে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন, করোনাকালে এটাই সর্বাধিক সংক্রমণ। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৩.৩২ লক্ষ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ২ হাজার ৬২৪ জন, গতকাল যা ছিল ২ হাজার ২৬৩ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে কোভিডে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস প্রায় ১.২৪ লক্ষ বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৪০।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে, যা সামলাতে আপতত হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। একদিনে সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৮৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৭৩ জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৪১ লক্ষ ৬১ হাজার ৬৭৬। তবে কিছুটা হলেও স্বস্তির বিষয় রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে। রাজ্যে এখন সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৬.৯৩ লক্ষ। যদিও গোটা দেশের মধ্যে সর্বাধিক সক্রিয় কেস এখানেই। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৩ হাজার ২৫২ জনের।
মহারাষ্ট্রের পরেই সবথেকে খারাপ অবস্থা উত্তরপ্রদেশের। ২৪ ঘন্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৬০৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৯৬ জনের। এখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২.৭৩ লক্ষ।
এরপরই রয়েছে দিল্লি। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত শহরের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে দিল্লি। শেষ ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪৮ জনের। রাজধনীর হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের চূড়ান্ত অভাব দেখা দিয়েছে।
এই তিনটি রাজ্য ছাড়াও কেরল, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান - এই সাতটি রাজ্যের পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সাতটি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ২৮,৪৪৭, ২৬,৯৬২, ১৭,৩৯৭, ১৩,৭৭৬, ১৩,৫৯০, ১৩,৮০৪, ১৫,৩৯৮। ২৪ ঘন্টায় ছত্তিশগড়, গুজরাট ও কর্ণাটকে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন যথাক্রমে ২১৯, ১৪২ ও ১৯০ জন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন