
একনাগাড়ে ৬ দিন বেড়ে চলার পরে কিছুটা কমলো করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২,৫৯,১৭০ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিলো ২,৭৩,৮১০। এই সময়েই সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ১,৫৪,৭৬১ জন। এদিনের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ কেস বেড়েছে ১,০২,৬৪৮। শেষ ২৪ ঘণ্টায় যদিও গতকালের অনুপারে মৃত্যু সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এদিনের পরিসংখ্যান অনুসারে মৃত্যু হয়েছে ১,৭৬১ জনের।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। দিল্লি, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে লকডাউন। বেশ কিছু রাজ্যে চলছে নাইট কার্ফু। কিছু রাজ্যে চলছে সপ্তাহান্তের লকডাউন। এর মধ্যেই গতকাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশের পাঁচ শহরে লকডাউনের ঘোষণা করে। যে তালিকায় আছে লখনৌ, বারাণসির মত শহর। যদিও হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ যোগী প্রশাসন। আদালতের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮,৯২৪ জন। এর পরেই তালিকায় আছে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে সংক্রমণ ২৮,২১১ জনের। দিল্লিতে সংক্রমিত হয়েছেন ২৩,৬৮৬। কর্ণাটকে ১৫,৭৮৫, মধ্যপ্রদেশে ১২,৮৯৭, ছত্তিশগড়ে ১৩,৮৩৪, রাজস্থানে ১১,৯৬৭, গুজরাটে ১১,৪০৩।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা মুক্ত হয়েছেন ৫২,৪১২ জন। কর্ণাটকে ৭,০৯৮ জন এবং উত্তরপ্রদেশে ১০,৯৭৮ জন। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুসারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে, ৩৫১ জন। দিল্লিতে ২৪০ জন এবং উত্তরপ্রদেশে ১৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে। এছাড়াও ছত্তিশগড়ে ১৭৫ জন, কর্ণাটকে ১৪৬ জন, গুজরাটে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন