
গতকালের থেকে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও করোনার কারণে গত সাড়ে তিন মাসে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে শেষ ২৪ ঘন্টায়। দেশের করোনা পরিস্থিতি যে খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে ক্রমশ, কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও গতকাল একথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহেই সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে দেশের করোনা পরিস্থিতি। একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হলেন প্রায় সাড়ে ৫৩ হাজার মানুষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৪৮০, গতকাল যা ছিল সাড়ে ৫৬ হাজারের বেশি। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৩৫। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ৩৫৪ জন, গত বছর ১৭ ডিসেম্বরের পর এই প্রথম একদিনে এতজন কোভিডে প্রাণ হারালেন। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৬৮ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস প্রায় ১২ হাজার বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৬৬ তে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে, যা সামলাতে আপতত হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৯১৮। যদিও শেষ কয়েকদিনের তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম। ২৪ ঘন্টায় সেখানে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৯ জন। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ২৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৩৬, এর মধ্যে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৮৭। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২২ জনের। রাজ্যবাসীকে লকডাউনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
মহারাষ্ট্র ছাড়াও ছত্তিশগড়, কর্ণাটক পাঞ্জাব, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ছত্তিশগড়ে ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ ৩,১০৮। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাট, পাঞ্জাবে এই সংখ্যাটা ২,৮৭০, ২,১৫৩, ২,২৭০।
ইতিমধ্যেই করোনা প্রতিরোধে রাজ্যগুলির তরফ থেকে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বাজার এলাকা, পাবলিক প্লেসে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নাসিকে বাজারের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঁচ টাকার টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই টিকিটের বিনিময়ে ১ ঘন্টা বাজারে থাকা যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন