
গঙ্গা-যমুনা-সহ অন্যান্য নদীতে করোনায় শতাধিক মৃতদের দেহ ফেলে দেওয়ার কারণে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বহু গ্রামের মানুষের পানীয় জলের উৎস ও এলাকা দূষিত হয়ে চলেছে। এমনকী, জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীরও ক্ষতিসাধন করছে। আগামীদিনে এর প্রভাব ব্যাপকভাবে প্রাণীজগতের উপর পড়তে চলেছেও বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। বর্ষাকালের পর জলে ফেলে যাওয়া ও নদীর চড়ে ফেলে যাওয়া দেহগুলো পচন ধরলে তাও জলে গিয়ে মিশবে।
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের মালব্য গঙ্গা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান ড. বিডি ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, এভাবে দেহ ফেলার ঘটনা না আটকানো গেলে সংক্রমক রোগ আটকানো সম্ভব হবে না। এখন জলের ধারা কম থাকার কারণে দেহগুলো পচে রাসায়নিক বিক্রিয়া তৈরি হয়ে জলের ও জলে থাকা প্রাণীকূলের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে।
বিহার-উত্তরপ্রদেশের গঙ্গায় ভেসে ওঠা দেহগুলো কোভিড আক্রান্তদের কী না তা নিয়ে ধন্দ্ব থাকায়, ড. ত্রিপাঠী বলেন, সমীক্ষার মাধ্যমে এর উত্তর পাওয়া যাবে। যা এখনও পাওয়া যায়নি। দেখতে হবে, মৃতদেহর কারণে কোভিড সংক্রমণ ছড়াতে পারে কী না। এখনও পর্যন্ত জলে দূষণের কারণে করোনা সংক্রমণ ছড়ায় এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সংক্রমণের প্রধান মাধ্যম এখনও পর্যন্ত বায়ুবাহিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও জলে করোনার দেহ ভাসায় করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়, তাহলেও অন্যান্য সংক্রমক রোজ এর কারণে অনায়াসেই হতে পারে বলে দাবি করেছেন ত্রিপাঠী। উত্তরপ্রদেশের ফিশারিস দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ড. অরবিন্দ মিশ্রও জলের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর ব্যাপারে সহমত হতে পারেননি।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন