পরিবেশবান্ধব বাজিও না, সব ধরণের বাজি বিক্রি ও পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের

বিচারপতি বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসছে। এই অবস্থায় বাজি পোড়ানো, বিক্রির অনুমতি দেব কিভাবে? বৃহত্তর মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত। ক্রেতা, বিক্রেতা, প্রস্তুতকারী সংস্থা সকলের কথা ভাবতে হবে।"
পরিবেশবান্ধব বাজিও না, সব ধরণের বাজি বিক্রি ও পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের
ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

পরিবেশবান্ধব বাজিও নয়। কেবল প্রদীপ, মোমবাতি এবং আলো জ্বালিয়ে দীপাবলী পালন করতে বললো আদালত। শুক্রবার সবরকমের বাজি বিক্রি ও পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো কলকাতা হাইকোর্ট। গত বছরও এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট।

গত বুধবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছিল, কালীপূজো এবং দীপাবলীতে ২ ঘণ্টার জন্য পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। আজ এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, পরিবেশবান্ধব বা গ্রীন ক্র‍্যাকার্স পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক নয় সেটা বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে তা ঠিকই। কিন্তু বাজারে যেগুলো বিক্রি হবে সেগুলো সত্যি গ্রীন ক্র‍্যাকার্স তার নিশ্চয়তা আছে? যিনি কিনছেন, যিনি বিক্রি করছেন এবং সর্বোপরি পুলিশ কি ভাবে বুঝবেন যে এটা পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি করবে না? বিক্রি এবং পোড়ানোর সময় কে পরীক্ষা করবেন বাজি, তার কোনো উত্তর আছে পর্ষদের কাছে?

বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের অপেক্ষায় সাড়া দেশ। এই অবস্থায় বাজি পোড়ানো, বিক্রি করার অনুমতি দেবো কি ভাবে? বৃহত্তর মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত। ক্রেতা, বিক্রেতা, প্রস্তুতকারী সংস্থা সকলের কথাই ভাবতে হবে।"

আদালতের আরও বলে, করোনা আক্রান্তের এবং মৃত্যুর সংখ্যা রাজ্যে ও দেশে ঊর্ধ্বমুখী।বহুমানুষের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। বাজি পোড়ানোর ফলে বাতাসে মিশবে বিষাক্ত বাজির গন্ধ যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, কালীপূজা, ক্রিসমাস, জগদ্ধাত্রী পূজাতে কোনো বাজি বিক্রি বিক্রি করা বা পোড়ানো যাবে না। এমনকি বাজির ছবিও ডিসপ্লে করা যাবে না কোথাও। পুলিশকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in