

পতঞ্জলির 'মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন' মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত একাধিকবার এই বিষয়ে কেন্দ্রের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এবার এই বিষয়ে নিজেদের মতামত জানালো কেন্দ্র। আদালতে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়, আয়ুষ অথবা অ্যালোপ্যাথি - মানুষ কোনটা বেছে নেবে, এটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ইচ্ছা।
এই মামলায় শীর্ষ আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার পর ক্ষমা চেয়েছিলেন পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা রামদেব এবং তাঁর সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বালকৃষ্ণ আচার্য। কিন্তু আদালত তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। গত শুনানিতে কেন্দ্র সরকারকেও কটাক্ষ করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানায়, "আমরা ভাবছি সরকার কেন এই বিষয়ে তাদের চোখ বন্ধ রাখছে?"
বুধবার কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়, 'আয়ুষ অথবা অ্যালোপ্যাথি দুটোই চিকিৎসা ব্যবস্থা। আয়ুষ হোক বা অ্যালোপ্যাথি একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হিসেবে কোনটা বেছে নেবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। সরকার নাগরিকদের অধিকারকে সম্মান দেয়। তাঁদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সর্বদা সাহায্য করে চলেছে'।
মিথ্যা বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দায় রাজ্য সরকারের উপর চাপাল কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতে দেওয়া হলফনামায় সরকার জানিয়েছে, কোনও ‘বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন’ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যের। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আইন অনুসারে সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছে। সংস্থাটিকে বলা হয়েছিল পরীক্ষা না করা পর্যন্ত এ জাতীয় বিজ্ঞাপন প্রকাশ না করতে।
পাশাপাশি এই মামলায় উত্তরাখণ্ড সরকার শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, পুরো বিষয়ের ওপর সরকার নজর রাখছে। রাজ্য সরকার পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আদালতের নির্দেশ মেনে আইনি পদ্ধতিতে সবকিছু করা হবে।
প্রসঙ্গত, রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি এবং চিকিৎসকদের অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিকর দাবি করে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন