

প্রতি ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে একটি শিশু বা একজন যুবক বা যুবতী এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে গত বছরে। প্রত্যেকেরই বয়স ২০ বছরের নীচে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ইউনিসেফের তরফে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেওয়া হয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এইচআইভির চিকিৎসা হয়না বললেই চলে। ২০১৯ সালে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অর্ধেকের কম এই জীবনদায়ী চিকিৎসা করাতে সক্ষম হয়েছে বলেও ইউনিসেফের নতুন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুসারে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে থাকারা এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার শিশু মারা গিয়েছে গত বছর। ইউনিসেফ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোর জানিয়েছেন, শিশুরা যে পরিমাণে এখনও এইডস আক্রান্ত হচ্ছে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কোভিড ১৯ আসার আগে থেকে এইচআইভি চিকিৎসা ও প্রতিরোধ পরিষেবা ব্যহত হয়ে আসছে।
ইউনিসেফের তরফে জানানো হয়েছে, শিশু, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা বালক-বালিকা ও গর্ভবতী মহিলাদের এইচআইভি চিকিৎসা কোভিড পরিস্থিতিতে আরও দুঃসাধ্য হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন দেশে এর কারণে এইচআইভি চিকিৎসা পরিষেবা দারুণভাবে ব্যহতও হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মহামারীকালে এইডসও হাজারো শিশুদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফোর। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সঙ্গে ইউনিসেফের একটি যৌথ রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে, মহামারীর কারণে পরিষেবা বন্ধ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে মোতায়েনের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে সবক্ষেত্রেই চিকিৎসা ব্যহত হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন