
এক ধাক্কায় দেশে দৈনিক সংক্রমণ বাড়লো ২০ হাজার। গতকাল যা ছিল ৫৩ হাজারের কাছাকাছি, আজ তা ৭২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসের পর এই প্রথম দেশে দৈনিক সংক্রমণ এই পর্যায়ে পৌঁছাল, যা চিন্তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৭২ হাজার ৩৩০, গতকাল যা ছিল সাড়ে ৫৩ হাজার ৪৮০। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২২ লক্ষ ২১ হাজার ৬৬৫। ২৪ ঘন্টায় দেশে মারা গেছেন ৪৫৯ জন, গত বছর ডিসেম্বরের পর এই প্রথম একদিনে এতজন কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯২৭ জনের। ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় কেস প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার বেড়ে দেশে মোট সক্রিয় কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৫ তে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে মহারাষ্ট্রে, যা সামলাতে আপতত হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। ২৪ ঘন্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৪৪, গতকাল যা ছিল ২৭ হাজার ৯১৮। ২৪ ঘন্টায় সেখানে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ২২৭ জন। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ২৮ লক্ষ ১২ হাজার ৯৮০, এর মধ্যে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬০৪। করোনার কারণে রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৪ হাজার ৬৪৯ জনের। রাজ্যবাসীকে লকডাউনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
মহারাষ্ট্র ছাড়াও ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ছত্তিশগড়ে ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ ৪,৫৬৩। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাট, পাঞ্জাবে এই সংখ্যাটা যথাক্রমে ৪,২২৫, ২,৫৭৯, ২,৩৬০, ২,৯৪৪।
ইতিমধ্যেই করোনা প্রতিরোধে রাজ্যগুলির তরফ থেকে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বাজার এলাকা, পাবলিক প্লেসে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নাসিকে বাজারের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঁচ টাকার টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই টিকিটের বিনিময়ে ১ ঘন্টা বাজারে থাকা যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন