
নভেম্বরের শেষেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। সূত্রের খবর, রাজ্যে শেষ দু’সপ্তাহে নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় চার হাজার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪-১৮ নভেম্বরের মধ্যে মাত্র ১৪ দিনে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,২২৩ জন। সব মিলিয়ে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ১৪২ জন। শীতের মরশুমে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।
এছাড়া, শুক্রবার কলকাতা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গির জেরে মৃত্যু হয়েছে দুজনের বলে জানা গেছে। মৃত ওই দুজনই উত্তর ২৪ পরগণার বাসিন্দা। মৃত কাশীনাথ মজুমদার কামদুনির বাসিন্দা। এবং মৃত গায়েত্রী পাল ভোজেরহাটের বাসিন্দা। তাঁদের দুজনের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ আছে ডেঙ্গি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দু’জনের ক্ষেত্রেই ডেঙ্গি NS-1 পজেটিভ ছিল। দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বৃহস্পতিবার।
পরিসংখ্যান বলছে, বেসরকারি হাসপাতাল এবং ল্যাব থেকে ডেঙ্গি টেস্টের পর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে ৫ হাজার ৯৩৩ জনের। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত জুলাই মাসে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৮৮। আগষ্ট মাসে আক্রান্ত হন ৪ হাজার ৫১৬ জন। সেপ্টেম্বরে রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন ৭ হাজার ১৯৯ জন। এরপর অক্টোবরে নতুন করে আক্রান্ত হন ৪ হাজার ২২৩ জন। সব মিলিয়ে নভেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ২২৭ জন। তবে গত ১৪ দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২২৩ জন। ফলে বর্তমানে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ১৪২ জন।
ডেঙ্গির হটস্পট হিসেবে মূলত তিনটি জেলাকে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ এবং মালদাতে বেশী বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা।
বর্ষা বিদায় নিয়েছে অনেক দিনই। শেষ হতে চলছে নভেম্বর। শীতের মরশুমে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা আর একটু বাড়লে তারপরেই হয়ত পরিস্থিতির উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আসবে। তবে চিকিৎসকরা আশাবাদী, গত বছর যে হারে ডেঙ্গি ছড়িয়েছিল, এবার তার থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পরিস্থিতি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ১ লক্ষ ১২ হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন