ইউরোর সবচেয়ে বড় অঘটনটা হয়তো ঘটে গেছে কাল রাতেই। টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে ইউরোর দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় জানাতে হলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। আর গতকালের রাতটা অবশ্যই ভুলে যেতে চাইবেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। টাইব্রেকারের সর্বশেষ শট নিতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। সুইশ গোলরক্ষক ইয়ান সোমার বাজিমাৎ করেন এমবাপ্পের বল আটকে।
বুখারেস্টের এই ম্যাচের গল্পটা নাটকীয়তায় ভরা। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে এদিন প্রথমার্ধের ১৫ মিনিটে সুইশরাই প্রথম এগিয়ে যায়। হ্যারিস সাফারোভিসের গোলে প্রথমার্ধের শেষে ১-০ স্কোরে এগিয়ে থাকে সুইজারল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত আবার সুইজারল্যান্ড পরপর তিনটি গোল হজম করে। ৫৭ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের বাড়ানো পাস থেকে করিম বেনজেমা ফ্রান্সকে সমতা এনে দেন।
এই গোলের ঠিক দু মিনিট বাদেই রিয়েল তারকা নিজের এবং ফ্রান্সের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। ৭৫ মিনিটে তৃতীয় গোলটি আসে পোগবার পা থেকে। সুইজারল্যান্ড খেলা ঘোরায় নির্ধারিত সময়ের শেষ ১০ মিনিটে। দিদিয়ের দেশঁ হয়তো কল্পনা করতে পারেননি এমনটা ঘটতে পারে। ৮১ মিনিটে হ্যারিস সাফারোভিস তাঁর দ্বিতীয় গোলটি করে সুইশদের হয়ে লীড কমান এবং ৯০ মিনিটে মারিও গাভরানোভিস সুইজারল্যান্ডকে সমতা এনে দেন।
অতিরিক্ত সময়েও যখন ফলাফল হাতে আসেনি তখন টাইব্রেকারের মাধ্যমে খেলার নিষ্পত্তি করা হয়। সুইজারল্যান্ডের হয়ে পাঁচটি শট নিতে যান যথাক্রমে মারিয়ো গাভরানোভিস, ফেবিয়ান চার, ম্যানুয়েল আকাঞ্জি, রুবেন ভারগাস এবং আদমির মেহেমেদী। অপরদিকে ফ্রান্সের হয়ে শট নিতে যান যথাক্রমে পল পোগবা, অলিভার জিরুড, মার্কাস থুরাম, প্রিসনেল কিমপেম্বে এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে। সুইজারল্যান্ড পাঁচটি শটের পাঁচটিতেই হুগো লরিসকে ব্যর্থ করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জালে বল জড়ান। উত্তরে ফ্রান্স প্রথম চার শটে গোল করতে সক্ষম হলেও ফাইনাল শটে কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল করতে পারেননি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।