Euro Cup: স্পেনকে হারিয়ে ২০১২-র পর ফের ফাইনালে মানচিনির ইতালি

নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফলাফল ছিলো ১-১। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। অবশেষে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় ইতালি।
জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমা
জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমাছবি উয়েফা ইউরো ২০২০ ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে

ম্যাচ যে রোমহর্ষক হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ ছিলোনা। মানচিনির ইতালি বনাম লুইস এনরিকের স্পেনের লড়াই ঘিরে ফুটবল বিশ্ব মুখিয়ে ছিলো। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো আজ্জুরিরাই। ২০১২ সালের পর আবার ইউরোর ফাইনালে তারা।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের ফলাফল ছিলো ১-১। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। অবশেষে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় ইতালি। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ী দল অর্থাৎ ইংল্যান্ড অথবা ডেনমার্কের মধ্যে এক দল উঠবে ফাইনালে এবং তারা মুখোমুখি হবে ইতালির।

এদিন শুরু থেকেই দুই দল ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে। দুই দলের সামনেই ছিলো গোলের সুযোগ। কিন্তু প্রত্যেকেই ব্যর্থ হয়েছে। ইতালি এই ম্যাচে গোলের খরা কাটায় দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে। লাজিও তারকা সিরো ইমোবিলের বাড়ানো পাস থেকে সহজেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফ্রেডরিকো চিয়েসা। পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচের ৬২ মিনিটে ফেরান তোরেসের পরিবর্তে এনরিকে দলে নামান আলভারো মোরাতাকে। মোরাতার গোলেই ৮০ মিনিটে সমতা ফিরে পায় স্পেন।

অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও যখন ফলাফল হাতে আসেনি তখন টাইব্রেকারে মাধ্যমে খেলার নিষ্পত্তি করা হয়। কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে সেমিতে পৌঁছালেও, সেমিতে আর পারেনি লা রোহা'রা। টাইব্রেকারে ম্যানুয়াল লোকাতেল্লির বল উনাই সিমোন সেভ করে দেন। অর্থাৎ প্রথম শটে পিছিয়ে থাকে ইতালি। তবে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বিপরীত পক্ষে ডানি ওলমো অফ টার্গেটে বল মারেন এবং মোরাতার বল সেভ করে দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমা। শেষে জর্জিনহোর শেষ সূক্ষ্ম শটে গোল হওয়ার সাথে সাথেই উদযাপন শুরু করে দেন বনুচ্চি, ইনসাইনেরা।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in