ফ্রান্সের পর ইউরোর এক আসরে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় অর্জন করলো ইতালি। মিউনিখে ইউরোর রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে ২-১ গোলে হারালো তারা। আজ্জুরিদের হয়ে এই ম্যাচে একটি করে গোল করেন যথাক্রমে নিকোলা বারেল্লা এবং লরেঞ্জো ইনসাইন। বেলজিয়ামের হয়ে পেনাল্টি থেকে একটি মাত্র গোল করেন রোমেলু লুকাকু।
টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট বেলজিয়াম এবং মানচিনির ইতালির ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে আগে থেকেই ছিলো চরম উত্তেজনা। অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বেলজিয়ামের হয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামেন কেভিন ডি ব্রুইন। তবে এডেন হ্যাজার্ড সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি। ইতালি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমার প্রদর্শন এই ম্যাচে চোখে লাগার মতো ছিলো। খেলা শুরুর ১৪ মিনিটেই লিওনার্দো বনুচ্চি গোল করে এগিয়ে দেন ইতালিকে। তবে ভিএআরের নির্দেশে সেই গোল বাতিল করা হয়।
বনুচ্চির গোল বাতিল হলেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মানচিনি বাহিনীকে। প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটেই মার্কো ভেরাত্তির পাস থেকে থিবো কার্তুয়াকে বোকা বানান নিকোলো বারেল্লা। প্রথমার্ধের শেষের আগে আরও একটি গোলের দেখা পায় জর্জিয়ো চেলিনির দল। ৪৪ মিনিটে নিকোলো বারেল্লার বাড়ানো পাস থেকে ইতালির হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন নাপোলি ফরোয়ার্ড লরেঞ্জো ইনসাইন। প্রথমার্ধের যোগ করা ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে বেলজিয়ামের হয়ে ব্যবধান কমান রোমেলু লুকাকু।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। বেলজিয়াম প্রাণপণ লড়াই করেও সমতা ফিরে পায়নি। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ইতালি। কোয়ালিফায়ার সহ ইউরোতে টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত তারা। ১৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকা বেলজিয়ামের সফর আপাতত এই আসরের জন্য শেষ। সেমিফাইনালে ইতালির প্রতিপক্ষ স্পেন। টানা চার বার ইউরোর নক আউট পর্বে দেখা হলো স্পেন ও ইতালির। তিনবারের মধ্যে ২ বার জয় পেয়েছে স্পেন। ২০০৮ সালে ইতালিকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারায় স্পেন এবং ২০১২ তে ফাইনালে ইতালিকে হারিয়ে রেকর্ড তৃতীয় ইউরো ঘরে তুলেছিলো স্প্যানিশরা। তবে শেষবার ২০১৬ সালে দ্বিতীয় রাউন্ডে ইতালির কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় জানাতে হয়েছিলো স্পেনকে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।