দ্রুত বল নিয়ে জার্মানদের ডি বক্সে ঢুকলেন জ্যাক গ্রিলিস। গোল পোস্টের দিকে তুলে মারলেন। সেই বল নাগালে পেলেন হ্যারি কেন। বুকের উচ্চতায় থাকা বলকে হালকা ঝুঁকে হেডের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিলেন ম্যানুয়াল ন্যূয়েরের জালে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক অবশেষে ইউরোর প্রথম গোলটি পেলেন। ম্যাচের বয়স তখন ৮৬ মিনিট। জার্মান সমর্থকরা বুঝেই গেছিলেন আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। ওয়েম্বলিতে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি তারা। মাটিতে হাঁটু রেখে বসে পড়েছেন টমাস মূলার। পর্তুগাল, ফ্রান্সের পর ডেথ গ্রুপের তৃতীয় দল জার্মানিও বিদায় জানালো ইউরো থেকে। জার্মান ঘোড়া থামালেন রহিম স্টার্লিং - হ্যারি কেন।
হ্যারি কেনের গোলের আগে অবশ্য স্বস্তি পেয়েছিলেন গ্যারেথ সাউথগেট। আর সেই স্বস্তি দিয়েছিলেন সাউথগেটের ভরসার পাত্র রহিম স্টার্লিং। ৭৫ মিনিটে লুক শ'র বাড়ানো পাস থেকে দারুণ নৈপুণ্যে জার্মানিকে প্রথম গোলটি খাওয়ান ইংল্যান্ডের সাত নম্বর জার্সি ধারী স্টার্লিং। চলতি ইউরোতে এটি তাঁর তৃতীয় গোল। এর আগে গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ড দুটি গোল করে। আর এই দুটি গোলই আসে স্টার্লিংএর পাস থেকে।
দীর্ঘ ৫৫ বছরের অভিশাপ যেনো মুক্ত হলো। নক আউট পর্বে ইংল্যান্ডকে বারবার নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে জার্মানদের কাছে। ইউরো ২০২০ তে তৈরি হলো নতুন ইতিহাস। যার কারিগর গ্যারেথ সাউথগেট এবং তার 'থ্রি লায়ন্স'। শেষ আটে এখন ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ সুইডেন এবং ইউক্রেনের মধ্যে জয়ী দল। জার্মানিকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ফেভারিট ইংল্যান্ড শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখা হয়তো শুরুই করে দিয়েছে।
এদিন প্রথমার্ধে বলের উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ রাখে ইংল্যান্ড। কিন্তু গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে প্রেসিং ফুটবল দক্ষ জার্মানরা আগুন ঝরাতে থাকেন। জার্মানিরা যখন ভারী হচ্ছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক তখনই কাউন্টার অ্যাটাকে বাজিমাৎ করে দেন লুক শ - স্টার্লিং জুটি। এরপর অবশ্য টমাস মূলারের কাছে সুযোগ এসেছিলো গোল পরিশোধ করার। কিন্তু মূলারের মারা বল জর্ডান পিকফোর্ডকে পরাস্ত করলেও জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হয়। জার্মানরা যখন সমতা ফিরে পাওয়ার জন্য মরিয়া তখন হ্যারি কেন দ্বিতীয় গোলটি করে জার্মানদের হতাশ করে দেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।