
রেকর্ড চতুর্থ ইউরো কাপের শিরোপা জয়ের জন্য আর মাত্র দু ধাপ দূরে রয়েছে লুইস এনরিকের 'স্প্যানিশ আর্মাডা'। সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে গেলেন ইয়ান সোমের। তবে উনাই সিমোনের আলোতে ঢাকা পড়ে গেলেন সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষক। অনবদ্য প্রদর্শন করেও ট্রাইবেকারে ১-৩ ব্যবধানে হারতে হলো শাকিরি বাহিনীকে। অন্যদিকে ২০১২ সালের পর আবারও ইউরোর সেমি ফাইনালে স্পেন।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে সুইজারল্যান্ড নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছিলো আগেই। এদিন কোয়ার্টার ফাইনালে স্প্যানিশদেরও ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো তারা। প্রথমার্ধের ৮ মিনিটেই ডেনিস জাকারিয়ার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত এই লীডই ধরে রাখে লুইস এনরিকেরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফিরে পায় সুইজারল্যান্ড। রোমেরু ফ্রিউলারের বাড়ানো পাস থেকে ৬৮ মিনিটে গোল করে সুইশদের খেলায় ফেরান স্বয়ং অধিনায়ক শাকিরি।
সমতা ফিরে পাওয়ার ১০ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় রোমেরু ফ্রিউলার। এরপর অবশ্য দশ জনই লড়াই করে যায় সুইজারল্যান্ড। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও দুর্ভেদ্য হয়ে দাঁড়ান সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষক ইয়ান সোমের।
অবশেষে খেলা পৌঁছায় টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে গিয়ে অফ টার্গেটে বল মারেন স্প্যানিশ অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস। মারিও গাভরানোভিস সুইজারল্যান্ডকে প্রথম স্পট কিকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয় শটে ডানি ওলমো স্পেনকে সমতা এনে দেন। এরপর সুইজারল্যান্ড পরপর তিনটি শট মিস করে যায়। তৃতীয় শটে রদ্রি মিস করলেও শেষ দুই শটে জেরার্ড মোরেনো এবং মিকেল ওয়ারজাবাল লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি। ৩-১ ব্যবধানে ট্রাইবেকার জিতে নেয় স্পেন।
টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন। ফাইনালের টিকিটের জন্য তারা লড়াই করবে বেলজিয়াম এবং ইতালির মধ্যে জয়ী দলের সঙ্গে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন