দীর্ঘ ৫৫ বছরের অভিশাপ কাটিয়ে কোনো মেজর টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ এবং ইউরো) ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। ওয়েম্বলিতে অতিরিক্ত সময়ে অধিনায়ক হ্যারি কেনের গোলে ডেনমার্ককে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। তবে ব্রিটিশ লায়ন্সদের জয়ের পরেই শুরু হয়েছে একাধিক বিতর্ক।
হ্যারি কেনের নেওয়া স্পট কিকের সময় লেজার লাইট ফেলা হয় ডেনিশ গোলরক্ষক কাসপের স্মাইকেলের মুখে। সে ছবিও এসেছে প্রকাশ্যে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত সময়ে রহিম স্টার্লিংএর পেনাল্টি উপহার পাওয়ার সময় গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় একটি বলও প্রবেশ করে। এই পরিস্থিতিতে রেফারি খেলা না থামিয়ে খেলা চালিয়ে যান।
প্রথমত, ১০৪ মিনিটে ইংল্যান্ডের পক্ষে পেনাল্টি দেওয়া নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে ঘোর বিতর্ক। ডেনমার্কের কোচ কাসপের ঝুলমান্ড ম্যাচ শেষের পর পেনাল্টি প্রসঙ্গে হতাশা প্রকাশ করেন। অতিরিক্ত সময়ে জোয়াকিম মাহলের সাথে জায়গা তৈরি নিয়ে সমতা হারিয়ে পড়ে যান স্টার্লিং। এরপর ভিডিও রিভিউর মাধ্যমে পেনাল্টি দেওয়া হয় ইংল্যান্ডের পক্ষে। যেখান থেকে জয়সূচক গোলটি করেন হ্যারি কেন।
পেনাল্টির বিতর্ককে সামলে নিলেও নতুন আর এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যেই মুহূর্তে পেনাল্টি উপহার দেওয়া হয় ইংল্যান্ডকে সেই সময় স্পটের খুব কাছেই দ্বিতীয় একটি বল নজরে আসে। ম্যাচ রেফারি চাইলে খেলা বন্ধ করে পুনরায় 'ড্রপ বল'-এর মাধ্যমে খেলা শুরু করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। কারণ তিনি মনে করেছেন দ্বিতীয় বলটি খেলায় কোনো বিঘ্ন ঘটায়নি।
ফিফা ২০২০-২১ এর নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় কোনো বল, কোনো বস্তু বা কোনো প্রাণী খেলা চলাকালীন মাঠের মধ্যে প্রবেশ করলে অবশ্যই রেফারি খেলা বন্ধ করবে (ড্রপ বলের মাধ্যমে নতুন করে পুনরায় শুরু করবে) তখনই, যদি সেগুলো খেলায় বিঘ্ন ঘটায়।" কিন্তু এই ম্যাচে রেফারি তা মনে করেননি।
এছাড়াও হ্যারি কেন পেনাল্টি নিতে যাওয়ার সময় ডেনিশ গোলরক্ষক কাসপের স্মাইকেলের মুখে লেজার লাইট ফেলা হয়। তার ছবি স্পষ্ট প্রকাশ হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।