

নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুতে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। পুলিশকে 'সরকারের ভাড়াটে গুন্ডা' বলে উল্লেখ করে তাঁর দাবি, জনগণ সময়মতো ভাড়াটে গুন্ডাদের এই অন্যায়ের জবাব দেবেন।
নিজের ফেসবুকে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় লেখেন, "ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে সরকারের ভাড়াটে গুন্ডাদের (পুলিশের) লাঠির ঘায়ে যুবক ফরিদ মিদ্যা শহীদ হলেন। যাঁরা রাজনীতিকে 'খেলা' মনে করছেন, তাঁদের উপরি রোজগার আছে। তাঁরা জানেন না যে বেকারত্বের জ্বালা, প্রতিবাদের মিছিল আর শহীদের মৃত্যু - এর কোনোটাই কিন্তু ছেলেখেলা নয়। নিঃস্ব জনগণ সে কথা জানেন। তাঁরাই সময়মতো এই অন্যায়ের জবাব দেবেন।"
মইদুলের মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ফেসবুকে তিনি লেখেন, "পুলিশের অত্যাচারে আহত কমরেড মনসুর আলি হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা। অনেক হয়েছে এই নৃশংসতা, এবার জেগে ওঠার সময় হয়েছে বন্ধুরা। এভাবে প্রত্যেকের মূল্যবান জীবন নষ্ট হতে দেব না আমরা।"
গত ১১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা-কর্মসংস্থান-শিল্পের দাবিতে বাম ছাত্র যুবদের ডাকা নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন মইদুল। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের গোপীনাথপুর DYFI ইউনিটের সম্পাদক ছিলেন তিনি। এলাকায় 'ফরিদ' নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। পেশায় অটোচালক মইদুল অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি স্থানীয়দের। বাড়িতে তাঁর বিধবা মা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন