সম্পন্ন হয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষশ্রদ্ধা, উস্তাদকে সমাধিস্থ করা হবে জন্মভূমি উত্তরপ্রদেশে

People's Reporter: সূত্রের খবর, রাতের বিমানে শিল্পীর নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে জন্মস্থান উত্তরপ্রদেশে। নিজের জন্মভূমিতেই সমাধিস্থ করা হবে উস্তাদকে।
শেষশ্রদ্ধা উস্তাদ রাশিদ খানকে
শেষশ্রদ্ধা উস্তাদ রাশিদ খানকেনিজস্ব ছবি
Published on

মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান। বুধবার দুপুরে রবীন্দ্র সদনে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয় শিল্পীর শেষ শ্রদ্ধা। এরপর তাঁকে শেষবারে মতো নাকতলার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর সেখান থেকে রাতের বিমানে শিল্পীর নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে জন্মস্থান উত্তরপ্রদেশে। জন্মভূমিতেই সমাধিস্থ করা হবে উস্তাদকে, পুলিশ সূত্রে এমনই জানা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুর ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে প্রয়াত হন কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান। তারপর সারারাত কলকাতার নাকতলায় নিজের বাসভবনে রাখা হয় তাঁর নিথর দেহ। বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তাঁকে শেষশ্রদ্ধার জন্য নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্র সদনে। প্রিয় শিল্পীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদনে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর অগণিত ভক্ত। উপস্থিত হয়েছিলেন সঙ্গীত জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও।

দুপুর ১ টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মাধ্যমে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর নাকতলার বাড়িতে। প্রথমে টালিগঞ্জ কবরস্থানে তাঁর দেহ সমাধিস্থ করার কথা থাকলেও, পরে বদায়ূঁতে সমাধিস্থ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করে তাঁর পরিবার ৷ সেই ইচ্ছের কথা জানানো হয় রাজ্য সরকারকে ৷ এরপর সেই ইচ্ছে পূরণে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন যাবতীয় ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক ৷ আজ রাতের বিমানে তাঁর নিথর দেহ নিয়ে পরিবারের লোকজন পাড়ি দেবেন উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে।

উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। সূত্র অনুসারে, বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসার ফলে খানিক সুস্থ হয়েছিলেন শিল্পী। পরবর্তী সময়ে তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়।  তখন থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী।

শেষশ্রদ্ধা উস্তাদ রাশিদ খানকে
Bilkis Bano: বিলকিস বানোর কাহিনী নিয়ে ছবি করবেন কঙ্গনা, তৈরি চিত্রনাট্যও! আর কী বললেন অভিনেত্রী?

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in