'দেব মেগাস্টার হলে এত তারকা লাগে কেন? একার জোরে তো টানার কথা' - ফের দলীয় সাংসদকে কটাক্ষ কুণালের

People's Reporter: রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র বা কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী মুখ নিয়ে অবশ্য তাঁর আপত্তি নেই। কুণালের দাবি, “ওঁরা শালীনভাবে মতামত দেন, তাই শ্রদ্ধা রাখি।"
দেব এবং কুণাল ঘোষ
দেব এবং কুণাল ঘোষছবি - সংগৃহীত
Published on

প্রথম ছবি, প্রথম ডাবিং— রাজনীতির ময়দানে বর্ষীয়ান, কিন্তু অভিনয়ের জগতে একেবারেই নবাগত কুণাল ঘোষ। অরিন্দম শীল পরিচালিত তাঁর প্রথম ছবি ‘কর্পূর’-এর ডাবিং শেষ করলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু নিজের প্রথম ছবির আসন্ন মুক্তির আনন্দের মাঝেও বিতর্কিত মন্তব্য করতে পিছু হঠলেন না কুণাল ঘোষ। নিশানায় সেই দেব, যিনি তাঁরই দলের সাংসদ।

এদিন ডাবিং শেষে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কুণাল বলেন, “দেব নাকি মেগাস্টার! তা হলে এত তারকা নিয়ে ছবি করতে হয় কেন? নিজের একার জোরে তো টানার কথা!” তাঁর আরও অভিযোগ, দেবের ‘উদার সাজা’ নীতি আসলে বিভ্রান্তিকর। “যাঁরা সারাক্ষণ শাসকদলকে কটাক্ষ করেন— মিঠুনদা, সোহিনী সরকার— দেব তাঁদের মধ্যেই প্রতিভা খুঁজে পাচ্ছেন! বাংলায় যেন আর কেউ নেই!”

তবে দেবের সাথে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত বিরোধ নেই বলে এদিন ফের একবার জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “আমার ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। বরং রসিকতা করে বলি, দেবের থেকেও রুক্মিণী মৈত্র আমার বেশি পছন্দ!”

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র বা কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী মুখ নিয়ে অবশ্য তাঁর আপত্তি নেই। কুণালের দাবি, “ওঁরা শালীনভাবে মতামত দেন, তাই শ্রদ্ধা রাখি।"

সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তীর সাথেও কুণাল ঘোষের সম্পর্ক তিক্ত রূপ নিয়েছে। জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। কুণাল জানিয়েছেন, তাঁর ডাবিং করার সময় পাশের ঘরেই নাকি ডাবিং করছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু তিনি নিজেকে ডাবিং রুমেই আটকে রেখেছিলেন! দুপুরে লাউঞ্জে খেতে আসেননি। কুণাল বলেন, "তিন দিন আগে জানতে পারি মিঠুনদাও ওই দিনই আসছেন। আমি ডাবিং পিছোইনি, উনিও তারিখ বদলাননি। তবে দুপুরে লাউঞ্জে না এসে উনি ডাবিং রুমেই খেয়ে নিয়েছিলেন।”

কুণালের বক্তব্য, “মিঠুনদা যেভাবে আমার দলনেত্রীকে অপমান করেন, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই সৌজন্য সাক্ষাতের প্রশ্নই ওঠে না। লাউঞ্জ তো সবার। উনি এলে আমি অসভ্যতা করতাম না, আবার বাড়তি আদিখ্যেতাও নয়।”

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in