

এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। লোকের মুখে মুখে ঘুরছে। এই ছবির সমর্থনে মুখ খুলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই ছবি করমুক্ত ঘোষণা হয়েছে, যাতে টিকিটের দাম কম হয়, বেশি সংখ্যক মানুষ সিনেমাটি দেখতে পারেন।
একদিকে বিতর্কের আঁচ ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে ছবিটি বক্সুফিসে লম্বা দৌড় শুরু করেছে । অনুপম খেরের মতে, ১৯৯০ সালে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ভিটেমাটি ছাড়ার ঘটনার প্রতিবাদ হল শেষপর্যন্ত। অনেকেই আবার সূক্ষ্ম রাজনীতি বা ধর্মীয় ভেদাভেদ খুঁজে পাচ্ছেন।
ছবিটি কি আদৌ এত চর্চার যোগ্য? 'মেঘে ঢাকা তারা'-র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি চাই, বিবেক এই ধরনের আরও ছবি বানান। আগামী বিষয় হোক উন্নাও বা হাথরসের ঘটনা।’
কমলেশ্বরের মতে, কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের উচ্ছেদের নির্দেশ জেকেএলএফের সঙ্গে লড়াইয়ের ফলাফল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহকে সমর্থন করত বিজেপি। তখন কি বিশ্বনাথ সরকার আদৌ এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেছিলেন? সেই অতীত টেনে, ইতিহাস বিকৃত করে (অনেকের দাবি), সামাজিক বিদ্বেষের আবহে এই ছবি তৈরির আসল কারণ রাজনীতি নয়তো?
কমলেশ্বরের প্রশ্ন - যাঁরা হিন্দু কাশ্মীরী পণ্ডিতদের উচ্ছেদ নিয়ে এত কথা বলছেন তাঁরা কীভাবে এনআরসিসিএ বিল আনতে পারছেন! অথবা সমর্থন করছেন? তিনি ফেসবুকে লিখেছেন - "উদ্বাস্তু আন্দোলনের চালিকাশক্তি ছিলেন বামেরা। যাঁরা আজ 'কাশ্মীর ফাইলস' ছবিটা দেখে ছিন্নমূল হওয়া মানুষের যন্ত্রনার কথা বুঝতে পারছেন - তাঁরা নিশ্চয়ই সংসদে তাঁদেরই প্রণয়ন করা NRC বা CAA'র বিরোধিতা করবেন এবার।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন