সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন তথাগত রায়, ট্যুইট যুদ্ধের জল গড়ালো থানায়

বিজেপি নেতার অভিযোগ, অভিনেত্রীর ট‍্যুইট হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে। যদিও অভিনেত্রীর দাবি, এই ট‍্যুইট তাঁর অগোচরে করা হয়েছিল এবং জানা মাত্রই তা ডিলিট করেছেন তিনি।
সায়নী ঘোষ ও তথাগত রায়
সায়নী ঘোষ ও তথাগত রায়ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

এতোদিন লড়াইটা ট‍্যুইটের মধ‍্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার তা থানা-পুলিশ অব্দি গড়ালো। অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ২০১৫ সালে সায়নীর করা একটি ট‍্যুইটের ভিত্তিতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বিজেপি নেতার অভিযোগ, অভিনেত্রীর ট‍্যুইট হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে। যদিও অভিনেত্রীর দাবি, এই ট‍্যুইট তাঁর অগোচরে করা হয়েছিল এবং জানা মাত্রই তা ডিলিট করেছেন তিনি।

নিজের ট‍্যুইটারে অভিযোগপত্রের একটি ছবি পোস্ট করে তথাগত রায় লেখেন, "সায়নী ঘোষ, আপনার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগপত্রটি দেওয়া হলো এখানে। গুয়াহাটির এক ব‍্যক্তি আমাকে বলেছেন আপনার মিম তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে এবং তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি আশা করি আসাম পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে এবং রিমান্ডের দাবি তুলবে।"

ঘটনার সূত্রপাত এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে সায়নীর বক্তব্য নিয়ে। যেখানে সায়নী বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "অস্ত্র হাতে বাইক মিছিল করতে করতে 'জয় শ্রী রাম' স্লোগানকে যেভাবে রণধ্বনিতে পরিণত করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। ভগবানের নাম ভালোবেসে বলা উচিত।"

এই মন্তব‍্যের প্রেক্ষিতে ট‍্যুইটারে একজন অভিনেত্রীকে আক্রমণ করেন। এরপরই নিজের ট‍্যুইটারে সায়নীকে ট‍্যাগ করে তাঁর 'টাইপ' নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে মুর্খ বলেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ‍্যপাল তথাগত রায়। এখান থেকেই শুরু হয় ট‍্যুইট যুদ্ধ, যা এখন থানা অবধি পৌঁছে গেছে।

২০১৫ সালে হিন্দু দেবতা নিয়ে সায়নীর পোস্ট করা একটি ট‍্যুইটকে হাতিয়ার করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তথাগত রায়। সায়নীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষমূলকভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ এনেছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে নিজের ট‍্যুইটারে সায়নী জানিয়েছেন, "২০১৫ সালের এই ট‍্যুইটটির বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। যে মুহূর্তে এটিকে আমার নজরে আনা‌ হয়, আমি সেটার তীব্র নিন্দা করে সবাইকে জানিয়ে ডিলিট করি। নিজের ধর্মকে আঘাত করার কোনো ইচ্ছে কোনোদিনই আমার ছিল না। আমি সবসময় নিজের বক্তব্য রেখেছি এবং নিজের জায়গা থেকে নড়িনি।... তবে আজ এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে যে বিদ্বেষের সম্মুখীন হতে হয়েছে আমায় তা অত‍্যন্ত দুঃখজনক।"

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in