Tarun Majumdar: প্রয়াত কিংবদন্তী চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার

গত ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। গতকালই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিলো। সেখানেই সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
তরুণ মজুমদার
তরুণ মজুমদারফাইল ছবি সংগৃহীত

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই। গত ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। গতকালই তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিলো। সেখানেই সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯১ বছর।

বেশ কিছুদিন ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তরুণ মজুমদার। ৯১ বছর বয়সী এই পরিচালকের চিকিৎসার দায়িত্বে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিলো। যেখানে ছিলেন, ডা. সোমনাথ কুণ্ডু, ডা. সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক বিমান রায়ের মতো অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা। গতকালই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তাঁকে দ্রুত ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়।

তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোক প্রকাশ করা হয়েছে সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে। সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, "প্রয়াত কিংবদন্তী চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। গভীর শোকের এই মুহূর্তে শ্রদ্ধা জানাই চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অপরিসীম অবদান ও লড়াকু মানসিকতাকে।"

১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বগুড়া-তে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। পড়াশুনা করেন কলকাতার সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ, স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

কেমিস্ট্রির ছাত্র তরুণ মজুমদারের সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল ছোট থেকেই। শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ নামে টিম তৈরি করে সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে ‘যাত্রিক’ থেকে বেরিয়ে নিজেই পরিচালনার কাজ শুরু করেন। মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবনকে চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে ধরেন ‘কাঁচের স্বর্গ’, ‘গণদেবতা’, ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’র মতো কালজয়ী বাংলা ছবির মাধ্যমে।

১৯৫৯ সালে চাওয়া পাওয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর পরিচালনা জগতে প্রবেশ। যদিও এককভাবে প্রথম পরিচালনা করেন ১৯৬৫ সালে ‘আলোর পিপাসা’ এবং ‘একটুকু বাসা’ চলচ্চিত্রে। ১৯৬৭তে বালিকা বধূর পর তিনি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছান। ২০১৮-তে তাঁর শেষ চলচ্চিত্র ভালোবাসার বাড়ি।

একাধিক জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তরুণ মজুমদারের সংগ্রহে। ১৯৬৩, ১৯৭২, ১৯৭৯ ১৯৮৪ এবং ২০০৪-এ তাঁর বিভিন্ন চলচ্চিত্র জাতীয় পুরস্কারের বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। বিএফজেএ পুরস্কার পেয়েছেন ৭ বার। ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন ৫ বার। ১৯৯০ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in