Tarun Majumdar: তরুণ মজুমদারের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক, হাসপাতালে বিমান বসু সহ বাম নেতৃত্ব

সকালে হঠাৎ এস.এস.কে.এম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরিচালকের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ নেন ও ডাক্তারদের নির্দেশ দেন পরিচালকের শারীরিক অবস্থার বিশেষ খেয়াল নিতে।
তরুণ মজুমদার
তরুণ মজুমদারফাইল ছবি আউটলুকের সৌজন্যে
Published on

শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক পরিচালক তরুণ মজুমদারের। গত কয়েকদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান এই বাঙালি চিত্র পরিচালক। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ তাঁর শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গাঙ্গুলি সহ বাম নেতৃত্ব।

দীর্ঘদিন থেকেই কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ৯২ বছরের তরুণবাবু। সম্প্রতি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা শুরু হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সি.সি.ইউ তে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। চারজন চিকিৎসকের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পরিচালকের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে, যার ফলে শারীরিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। আচ্ছন্নভাব রয়েছে শরীরে। হৃদযন্ত্রও সঠিক ভাবে কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন। বর্তমানে তাঁকে এস.এস.কে.এম–এর উডবার্ন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

প্রবাদপ্রতিম পরিচালক তরুণ মজুমদার বরাবরই প্রচার বিমুখ ছিলেন। সারা জীবন ধরে অনেক কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্র বানিয়ে দর্শককে উপহার দিয়েছেন তিনি। ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন, ১৯৯০ সালে পদ্মশ্রী সম্মান অর্জন করেন পরিচালক। এছাড়াও আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর শিল্পকর্মের জন্য। পরিচালকের অসুস্থতার কথা শুনে এই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন টলিপাড়ার সিনেকর্মীরা।

৯২ বছরের এই প্রবীণ পরিচালকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে আজ সকালে হটাৎ হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী যাবার পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলে ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন তিনি। পরিচালকের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ নেন ও ডাক্তারদের নির্দেশ দেন পরিচালকের শারীরিক অবস্থার বিশেষ খেয়াল নিতে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in