Sunny Deol: নিজের কেন্দ্রে পা রাখেন না সানি দেওল, ২০২৪-এ ফল ভুগবে দল - মত স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের

সম্প্রতি এক শ্যুটিং-এর জন্য চন্ডীগড় এসেছিলেন সানি। গুরুদাসপুরের বিজেপি কর্মীরা মনে করেন শ্যুটিং শেষে তিনি পাঠানকোট অথবা গুরুদাসপুরে আসবেন। যদিও শ্যুটিং শেষ করে সটান মুম্বাই উড়ে যান বিজেপি সাংসদ দেওল।
বিজেপি সাংসদ সানি দেওল এবং তাঁর নিখোঁজ পোষ্টার
বিজেপি সাংসদ সানি দেওল এবং তাঁর নিখোঁজ পোষ্টারফাইল ছবি, গ্রাফিক্স সুমিত্রা নন্দন

২০১৯-এ নির্বাচিত হবার পর থেকে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র গুরুদাসপুরে পা রাখেননি বিজেপি সাংসদ সানি দেওল। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের আশঙ্কা এর ফলে আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বড়ো বিপর্যয়ের মুখে পড়বে দল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল সম্প্রতি গুরুদাসপুরে এসেও সানি দেওলের অনুপস্থিতির কারণে বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভের ইঙ্গিত পেয়েছেন।

বিজেপি সাংসদ সানি দেওলের ওপর স্থানীয় মানুষ এবং বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে সাম্প্রতিক এক ঘটনায়। যে সময় সানি দেওল এক শ্যুটিং-এর জন্য চন্ডীগড় এসেছিলেন। গুরুদাসপুরের বিজেপি কর্মীরা মনে করেছিলেন শ্যুটিং শেষে তিনি হয় পাঠানকোট অথবা গুরুদাসপুরে একবারের জন্যে হলেও আসবেন। যদিও শ্যুটিং শেষ করে সটান মুম্বাই উড়ে যান বিজেপি সাংসদ দেওল।

নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রতি এই অনীহাকে বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা ‘গুরুতর অপরাধ’ বলেই মনে করছেন। তাঁদের বক্তব্য অনুসারে শেষ ৩ বছরে বিজেপি সাংসদ সানি দেওলকে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের কোথাও দেখা যায়নি। যদিও ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে সক্রিয় রাজনীতিক সুনীল জাখরকে হারিয়ে সানি দেওলকে নির্বাচিত করেছিল সাধারণ মানুষ।

বিজেপি সাংসদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে আক্রমণ করতে ছাড়েনি  কংগ্রেসও। পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং রণধাওয়া সাংবাদিকদের জানান, এই নির্বাচনী কেন্দ্রে পুলিশের দু’জন ডেপুটি কমিশনার এবং তিনজন এসপি আছেন। সাংসদ যদি এই পাঁচ জন পুলিশ আধিকারিকের নাম বলতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।

অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে, গত বছরের অক্টোবর মাসে নির্বাচনী কেন্দ্রে সানি দেওলের দীর্ঘ অনুপস্থিতিকে কটাক্ষ করে স্থানীয় মানুষ নিখোঁজ পোষ্টার লাগান। যেখানে বিজেপি সাংসদের ছবি দিয়ে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল 'গুমসুদা কী তালাশ'। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গুরুদাসপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন সানি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের ভাল-মন্দ তো দূর, এলাকার কোনও উন্নয়নমূলক কাজেই দেখা যায়নি তাঁকে। কোনও দরকারেই পাঞ্জাববাসী পাশে পায়নি এই বলিউড অভিনেতাকে। এমনকি, তাঁকে কখনই নিজের এলাকায় দেখা যায় না।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে গদর-২-এর শেষ পর্যায়ের শ্যুটিং-এর জন্য চন্ডীগড়ে আসেন সানি দেওল ও আমিশা প্যাটেল। প্রায় দু’দিনের শ্যুটিং পর্ব সেরে তিনি সরাসরি মুম্বাই ফিরে যান।  

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in