Prosenjit Chatterjee: ছবি বিতর্কের জের - ট্রোলের জবাবে মুখ খুললেন অভিনেতা

গত বৃহস্পতিবার মাদার টেরিজাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোষ্ট করা এক ছবি নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটানা ট্রোলের শিকার হয়েছেন। কয়েকদিন চুপ থাকলেও এদিন ট্যুইটারে মুখ খুললেন অভিনেতা প্রসেনজিত চ্যাটার্জি।
প্রসেনজিত চ্যাটার্জি
প্রসেনজিত চ্যাটার্জিফাইল ছবি প্রসেনজিত চ্যাটার্জির ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে সংগৃহীত
Published on

গত বৃহস্পতিবার মাদার টেরিজাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোষ্ট করা এক ছবি নিয়ে গত কদিন ধরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটানা ট্রোলের শিকার হয়েছেন। কয়েকদিন চুপ থাকলেও এদিন ট্যুইটারে মুখ খুললেন অভিনেতা প্রসেনজিত চ্যাটার্জি।

শনিবার কিছুক্ষণ আগে করা এক ট্যুইটে প্রসেনজিত জানিয়েছেন, “আমি সাধারণত ট্রোলের উত্তর দিই না। যাঁদের আমি অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এবার এটা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।”

ওই ট্যুইটেই তিনি লিখেছেন, প্রথমত আমি ছবি ক্রপ করিনি। বহু পুরোনো ছবি কেউ ফরোয়ার্ড করেছিলো এবং মাদার টেরিজার জন্মদিনে আমি সেই ছবি পোষ্ট করার কথা ভেবেছিলাম।

দ্বিতীয়ত, মাদার টেরিজাকে শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া এই ছবি পোষ্ট করার আর কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না।

সবার শেষে জানাই, ট্রোলকে অপছন্দ করে আমি জানাতে চাই, আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ছবি প্রকাশ করার অর্থ এই নয় যে কেউ সেই রাজনৈতিক দলকে পছন্দ বা অপছন্দ করেন। সেই কারণেই আমি সেই ছবিটি আনক্রপড অবস্থায় আবার পোষ্ট করলাম।

ট্যুইটের শেষে তিনি জানান, পৃথিবী এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছে। এই সময় অপ্রয়োজনীয় ঘৃণা এড়িয়ে চলা উচিৎ।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মাদার টেরেসার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সঙ্গে তোলা একটি পুরোনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেই ছবি নিয়েই নেটনাগরিকরা বিতর্কের ঝড় তোলেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাদারের পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রসেনজিৎ। পাশে লেখা, ‘মাদারের উপস্থিতি, তাঁর কথায় সব উদ্বেগ সরে গেল। আশীর্বাদ পেয়ে আমি ধন্য।’

এই ছবি নিয়ে বিতর্কের মূল কারণ মূল ছবিটিতে প্রসেনজিতের পাশে ছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রী রায়। আর মাদারের পাশে বসে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রাক্তন স্ত্রীকে ছবি থেকে বাদ দিয়ে পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটদুনিয়া।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in