কালিপুজোর অনুষ্ঠানে এক সঙ্গীতশিল্পীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিতর্কে জড়ালেন এক তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর ছেলে। ঘটনাচক্রে এই সঙ্গীতশিল্পীর বিরুদ্ধে 'বাঙালি বিরোধী' অভিযোগ তুলে এর আগে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূলেরই এক বড়ো অংশ।
গত লোকসভা নির্বাচনে সঙ্গীতশিল্পী পবন সিং-কে আসানসোল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বিজেপি। এরপরেই ভোজপুরি সঙ্গীত শিল্পী পবন সিং-কে ‘বাঙ্গালী বিরোধী’ এবং ‘মহিলা বিদ্বেষী’ হিসেবে দাবি করে প্রচারে নামে তৃণমূল। তাঁর একাধিক গান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে তাতে বাঙালি মহিলাদের অসম্মান করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় তৃণমূলের পক্ষে। এই বিতর্কের জেরে ওই কেন্দ্র থেকে আর প্রার্থী হতে চাননি পবন সিং। তাঁকে সরিয়ে এস এস আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করে বিজেপি।
এবার কালিপুজোর অনুষ্ঠানে সেই পবন সিং-কে আমন্ত্রণ জানানো নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ওই অঞ্চলের বহুলাতে যে কালিপুজোর অনুষ্ঠানে ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেই পুজোর মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে আছেন জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং এবং তাঁর ছেলে প্রেমপাল সিং।
দিনকয়েক আগেই এই বিষয়ে এক সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাজমাধ্যমে পোষ্ট করে পবন সিং-কে আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধিতা করা হয়। যদিও এই বিরোধিতা প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এক সংগঠনের পক্ষ থেকে বাঙলায় বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পবন সিং একজন শিল্পী। তাঁকে এভাবে আটকানো উচিত নয়। শিল্পীর কোনও গণ্ডী হয়না।
যদিও ভোজপুরি ওই সঙ্গীতশিল্পী সম্পর্কে বাংলা পক্ষ নামক ওই সংগঠনের অভিযোগ খুব স্পষ্ট। তাদের মতে এই সঙ্গীত শিল্পী বাঙালি বিরোধী। তিনি একাধিক সময় বাঙালি মহিলাদের অবমাননা করে গান করেছেন। তাই আগামী ৩ নভেম্বর তাঁকে এই বাংলাতে আমন্ত্রণ জানানোর তীব্র বিরোধিতা করা হচ্ছে। তিলোত্তমার বাংলায় পবন সিং-দের ঠাঁই নাই।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, “এই পবন সিং বাঙালি মহিলাদের নিয়ে নোংরা গানে বিখ্যাত।” এক সোশ্যাল মিডিয়া পোষ্টে বলা হয়েছে, “ভাবুন তাহলে একবার তৃণমূল বিধায়ক গান করতে আনছে বিজেপির প্রার্থীকে। কী বাঙালি কী বুঝলে?”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন