এমন কোনো ঝিনুক, যাতে মুক্তো আছে তা তিনি শেষ পর্যন্ত খুঁজে পেয়েছিলেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই চলে গেলেন বাংলা সঙ্গীতজগতের সাড়া জাগানো শিল্পী নির্মলা মিশ্র। শনিবার গভীর রাতে দক্ষিণ কলকাতার চেতলার বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে নির্মলা মিশ্রের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
শিল্পীর পারিবারিক সূত্র অনুসারে, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। এর আগে বেশ কয়েকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকেই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যদিও শিল্পী হাসপাতাল যেতে চাননি। রাত ১২টার কিছু পরে হৃদরোগই তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়। আজ রবিবার ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে শিল্পী মহলে।
১৯৩৮ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মজিলপুরে এক সাংগীতিক পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর বাবার নাম পণ্ডিত মোহিনীমোহন মিশ্র এবং মায়ের নাম ভবানী দেবী। পারিবারিক পদবী বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও তাঁরা সাংগীতিক এই পরিবার ‘মিশ্র’ উপাধি পান। মূলত বাবার চাকরিসূত্রেই তাঁরা কলকাতার চেতলায় চলে আসেন।
প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক বালকৃষ্ণ দাসের হাত ধরে ওড়িয়া চলচ্চিত্রে নেপথ্য গায়িকা হিসেবে ১৯৬০ সালে সঙ্গীত জীবন শুরু করেন নির্মলা মিশ্র। এরপর একের পর এক ওড়িয়া চলচ্চিত্রে তিনি কণ্ঠদান করেন। পরবর্তী সময়ে একের পর এক কালজয়ী বাংলা গান গেয়ে বাংলা সঙ্গীতজগতেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন শিল্পী নির্মলা। তাঁর এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, ও তোতাপাখী রে, এই বাংলার মাটিতে, বলো তো আরশি তুমি মুখটি দেখে, আমি তো তোমার চিরদিনের প্রভৃতি গান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।