মুক্তির আগেই বিতর্কের কেন্দ্রে ‘Swatantra Veer Savarkar’ সিনেমা। অভিনেতা ও সিনেমাটির পরিচালক রণদীপ হুডা (Randeep Hooda)-র বিরুদ্ধে 'তথ্য বিকৃতি’র অভিযোগে এনেছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু’র পরিবার।
সম্প্রতি, টুইটারে ‘সাভারকার’ চরিত্র নিয়ে একটি টিজার শেয়ার করেছেন রণদীপ হুডা। তাতে দাবি করা হয়েছে, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose), ভগৎ সিং এবং ক্ষুদিরাম বসু (Khudiram Bose)-র মতো বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা ছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar)। এই দাবিকে ‘অসত্য ও বিকৃত’ বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ (Anita Bose Pfaff)।
জাতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতাজি কন্যা বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর মতো নেতাজিও ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করতেন। তাই, সারভারকারের অনুগামীরা ভারতের স্বার্থে নেতাজির দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে পারেন এবং তাঁর নয় এমন মতামতের জন্য তাঁকে (নেতাজিকে) যেন হাইজ্যাক না করেন।’
এর আগে নেতাজির নাতি তথা বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু জানান, ‘সাভারকরের আদর্শ নেতাজি ও ভগৎ সিংয়ের থেকে মৌলিকভাবে আলাদা ছিল।’ একাধিক দৃষ্টান্ত তুলে ধরে চন্দ্র বসু বলেন, সাভারকরের চিন্তাধারা এবং তাঁর সঙ্গে হিন্দু মহাসভার সম্পর্কের তীব্র বিরোধী ছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।
সাভারকারকে নিয়ে বায়োপিক তৈরির যে উদ্যোগ নিয়েছেন রণদীপ হুডা তা প্রশংসা পেতে পারে। তবে, এটিতে সাভারকারের ব্যক্তিত্বকে সঠিকভাবে চিত্রিত করা উচিত। এজন্য সিনেমায় নেতাজি, ভগৎ সিং এবং ক্ষুদিরাম বসুকে অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই বলে মনে করেন তিনি।
হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘নেতাজি হিন্দু মহাসভার বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের অধিকারী ছিলেন। যদি সিনেমাটিতে বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করা হয়, তাহলে দেশের ১৪০ কোটি মানুষ তাঁর (পরিচালক হুডা’র) বিরুদ্ধে যাবে।’
এদিকে, ক্ষুদিরাম বসুর নাতি সুব্রত রায় জানিয়েছেন, ‘ক্ষুদিরাম বসু সাভারকারের মধ্যে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এমন কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘অনুশীলন সমিতিতে থাকার কারণে হেমচন্দ্র কানুনগো, সত্যেন বোস এবং অরবিন্দ ঘোষের মতো ব্যক্তিত্বদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ছিলেন ক্ষুদিরাম বসু।’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন