প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার

মোট আটবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন দিলীপ কুমার। নমিনেশন পেয়েছেন ১৯ বার। ২০১৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করেন।
দিলীপ কুমার
দিলীপ কুমারফাইল ছবি
Published on

প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। বুধবার সকালে মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৮। অভিনেতার চিকিৎসক ডঃ জালিল পার্কার সংবাদমাধ‍্যমের সামনে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। অভিনেতার অফিসিয়াল ট‍্যুইটার হ‍্যান্ডেল থেকেও জানানো হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই অভিনেতা। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস‍্যার কারণে গত বুধবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার কয়েকদিন আগেই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। আইসিইউতে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। আজ সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শেষ সময়ে পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু।

দু'দিন আগেই অভিনেতার অফিসিয়াল ট‍্যুইটার হ‍্যান্ডেল থেকে ট‍্যুইট করে সায়রা বানু জানিয়েছিলেন, "দিলীপ কুমারের প্রতি ভগবানের অশেষ করুণার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ওনার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আমরা এখনও হাসপাতালেই রয়েছি। আপনারা ওঁর জন্য প্রার্থনা করুন যাতে উনি সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।"

১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের খাইবারে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন দিলীপ কুমার। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল মহম্মদ ইউসুফ খান। ১৯৩০ সালে সপরিবারে মুম্বাইয়ে আসেন তিনি।

১৯৪৪ সালে "জোয়ার ভাটা" সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডে প্রবেশ করেন দিলীপ কুমার। এরপর আর পিছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। ৬৫-টিরও বেশি সিনেমাতে নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেছেন তিনি।

তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো - আজাদ (১৯৫৫), দেবদাস (১৯৫৫), মুঘলে-ই-আজম (১৯৬০), গঙ্গা যমুনা (১৯৬১), ক্রান্তি (১৯৮১), শক্তি (১৯৮২), মশাল (১৯৮৪), কর্মা (১৯৮৬) ইত‍্যাদি। তাঁর শেষ ছবি ছিল কিলা, ১৯৯৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি।

মোট আটবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন দিলীপ কুমার। নমিনেশন পেয়েছেন ১৯ বার। ২০১৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in