

প্রয়াত আকাশবাণী এবং দূরদর্শনের সংবাদ পাঠিকা ছন্দা সেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বুধবার রাত ২.২৫ নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বহু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কিংবদন্তি সংবাদ পাঠিকা।
হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পাশাপাশি চোখের সমস্যাও ছিল। জানা যায়, গত এক বছর ধরে বহুবার অসুস্থ হয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা এসএসকেএমে ভর্তি ছিলেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার কেওড়া তলা মহাশশ্মানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর। তার আগে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে আকাশবাণী ভবনে।
লেডি ব্রেবর্ন কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন ছন্দা সেন। ১৯৭৪ সালে সংবাদ পাঠিকা হিসাবে আকাশবাণীতে যোগ দেন তিনি। তার এক বছর পরেই ১৯৭৫ সালে যোগ দেন দূরদর্শনে। শুরু থেকে তাঁর দৃঢ় ব্যক্তিত্ব এবং অসাধারণ কণ্ঠস্বর মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। ২০০৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। কলকাতার ভবানীপুরে স্বামী এবং মেয়ের সাথেই থাকতেন তিনি।
ছন্দাদেবীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন আকাশবাণীতে তাঁর দীর্ঘ দিনের বন্ধু জলি ব্রহ্ম। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, “অনেক দিন একসঙ্গে কাজ করেছি। বয়সে অনেকটাই বড়। কিন্তু কখনও মনে হয়নি বয়সে বা অভিজ্ঞতায় বড়। আমরা ‘তুই’ সম্বোধন করেই কথা বলতাম। গত এক বছর ধরে নানা রকম সমস্যায় ভুগছিলেন। জুন মাসে একবার ভাবনীপুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছিলাম।”
পুরানো স্মৃতি উসকে আকাশবাণীর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক কৃষ্ণশর্বরী দাশগুপ্ত বলেন, “আগে দূরদর্শনে ছন্দাদিকে খবর পড়তে দেখতাম। তার পর ১৯৯১ সালে যখন যোগ দিলাম আকাশবাণীতে, তখন আলাপ হল ওঁর সঙ্গে। বয়সে বড় হলেও খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। পরে একসঙ্গে কাজ করেছি। প্রাত্যহিকী বলে একটি অনুষ্ঠান হত আকাশবাণীতে। ছন্দাদি কাজ করেছেন মহিলা মহলেও।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
