
ফের বিপাকে কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’ (Emergency)। এবার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিরুদ্ধে 'ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃতি' করার অভিযোগ এনেছেন প্রবীণ সাংবাদিক তথা লেখিকা কুমি কাপুর। পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিশ।
২০১৫ সালে কুমি কাপুরের লেখা ‘দ্য ইমার্জেন্সিঃ এ পার্সোনাল হিস্ট্রি’ প্রকাশিত হয় পেঙ্গুইন প্রকাশনি সংস্থা থেকে। লেখিকা দাবি করেছেন, বইটি নিয়ে ছবি করার জন্য স্বত্ব সংক্রান্ত একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় মণিকর্ণিকা ফিল্মস প্রোডাকশন, পেঙ্গুইন এবং তাঁর মধ্যে। কুমি কাপুরের অভিযোগ, ছবিতে সেই চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি একাধিক বাস্তবগত ভুল এবং ঐতিহাসিক ঘটনার বিভ্রান্তিকর চিত্রায়নের অভিযোগ এনেছেন মণিকর্ণিকা ফিল্মস এবং নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে।
লেখিকা জানিয়েছেন, “আমার আইনজীবী মেয়ের পরামর্শে ওদের বিরুদ্ধে দুটি ধারা দিয়েছি। প্রয়োজকদের ছবিটি তৈরির সম্পূর্ণ শৈল্পিক স্বাধীনতা ছিল, কিন্তু এমন কিছু পরিবর্তন করা উচিত হয় নি, যা ঐতিহাসিক তথ্যের বিরোধিতা করবে”। তিনি আরও বলেন, “লেখকের নাম এবং বই পূর্ব লিখিত সম্মতি ব্যতীত চলচ্চিত্রের প্রচারের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। আমি গোয়াতে ছিলাম তাই ছবিটি দেখিনি। কিন্তু তারা এখনও দাবি করছে যে ছবিটি বইটির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে”।
লেখিকা জানান, চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তাঁকে বলা হয়েছিল যে তাঁর বই থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উপর শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট অধ্যায় ছবিটির জন্য উল্লেখ করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং ছবির নাম তাঁর লেখা বইয়ের নামের সঙ্গে সমতুল্য রাখা হয়। এবং ছবিটিতে অসংখ্য ঐতিহাসিক ভুল রয়েছে।
ছবিতে দেখানো হয়েছে, ইন্দিরা গান্ধী ব্যক্তিগতভাবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদকে তাঁর মন্ত্রিসভার পরামর্শ ছাড়াই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার জন্য হুমকি দিয়েছিলেন। এবং আর একটি দৃশ্যে দেখা যায়, সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করার সাথে সাথেই সেই জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু সেটা সত্য নয়। আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, “প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৭ সালের মার্চ মাসে ইন্দিরা গান্ধী সাধারণ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়নি”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন