

ফের বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী তথা হিমাচল প্রদেশের মান্ডির নবনির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। এবার কঙ্গনা রানাউত দাবি করেন, শপথ নেওয়ার পর তিনি মহারাষ্ট্র সদনে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিযুক্ত ঘরে থাকতে চান। অভিনেত্রী সাংসদের এহেন মন্তব্যের পর থেকে এনডিএ জোট এবং মহা বিকাশ আঘাদি জোটের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন। বুধবার পর্যন্ত চলেছে সাংসদদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন অভিনেত্রী সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। এরই মাঝে দিল্লির মহারাষ্ট্র সদনে যান তিনি। সেখানে সমস্ত কক্ষ ঘুরে দেখেন তিনি। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিযুক্ত প্রশস্ত কক্ষ পছন্দ করে সেখানে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
কঙ্গনার এহেন ইচ্ছা শুনে অবাক শিবসেনার (ইউবিটি) সাংসদ সঞ্জয় রাউত। এটিকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন তিনি। কঙ্গনাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "মহারাষ্ট্র ভবনের দিকে নজর না দিয়ে কেন তিনি রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে নজর দিচ্ছেন না?"
এই বিষয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী যশোমতি ঠাকুর বলেন, “অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত যেহেতু একজন নবনির্বাচিত সাংসদ, তাই তিনি এই জাতীয় বিষয়ে প্রোটোকল সম্পর্কে অজ্ঞ নন। তাই তিনি এমন আবেদন করেছেন।“
এনসিপি (শরদ পাওয়ার)-র জাতীয় মুখপাত্র ক্লাইড ক্র্যাস্টো বলেন, “তিন বছর আগে মহা বিকাশ আঘাদির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে কঙ্গনা রানাউত মুম্বাই এবং মহারাষ্ট্রকে পাকিস্তানের সাথে তুলনা করেছিলেন। এখন হঠাৎ করে তিনি দাবি করছেন যে মহারাষ্ট্র তাঁর দ্বিতীয় বাড়ির মতো। তাহলে কেন তিনি তাঁর 'জন্মভূমি'র পরিবর্তে তার 'কর্মভূমি' থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি?"
যদিও কঙ্গনার পাশে দাঁড়িয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক নীতেশ এন রানে। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ওদের প্রথমে উত্তর দেওয়া উচিত যে কত দিন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা শচীন ভাজে উদ্ধব ঠাকরের বাসভবনে ছিলেন?”
- With IANS Inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন